সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯
সুনামগঞ্জের ছাতকের সীমান্ত এলাকা থেকে আবুল কালাম বুলবুল ওরফে বুলু (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গত ১৭ জুলাই বুধবার উপজেলার গাংপার নোয়াকোর্ট এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইছামতি নদীর তীর সংলগ্ন নিয়ে যায়। সেখানে লাশ রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে ছাতক থানা পুলিশ।
জানা যায়, নিহত আবুল কালাম বুলবুল (বুলু) দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র। স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছেন।
এরপর নিহতের বড় ভাই আবুল হোসেন বাদি হয়ে ছাতক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৯৯/২০১৯ ইং। নিহত বুলবুলের আত্মীয় স্বজনরা হত্যার রহস্য বের করে আসামীদের চিহিৃত করে পুলিশকে সাথে নিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- ছাতকের গাংপার নোয়াকোর্টের বাসিন্ধা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মখদ্দুছ আলী (৫০) ও তার ভাই কুদ্দুসের ছেলে মাজহারুল ইসলাম রাসেল (২২)। ওপর গ্রেফতারকৃত আসামি দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে হোছন আলী।
মখদ্দুছ আলী ও রাসেলের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ আরো কয়েকজন আসামীদের সনাক্ত করে। তারা হলেন- ছাতকের গাংপার নোয়াকোর্টের মুখলেছ (৩৮), কুদ্দুছ (৫০), রফিক (৪৫), সর্ব পিতা মৃত আব্দুল করিম। নোয়াকোট গ্রামের বাতির আলীর ছেলে কাছা মিয়া (৩৪), বনগাও গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মিলাদ (৩৮), নিজগাও গ্রামের মৃত জলাল উদ্দিনের ছেলে বুরহান উদ্দিন (৩৫), শাহ আরেফিন টিল্লা (বাগানবাড়ী)’র মইন উদ্দিন মোলার ছেলে কামাল আহমদ (৩৫), ঝালিয়ার পাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে বাবুল ওরফে চেয়ারম্যান বাবুল (৩৬), ছনবাড়ী গ্রামের হামঝা মিয়ার ছেলে খোয়াজ আলী (৪০), এবং তার ভাই ফারুক (৩৮), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চিকাডহর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে ইসমাইল আলী (৩৮)।
হত্যা মামলা এক মাস অতিবাহিত হলেও খুনীরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এদিকে মামলার বাদী আবুল হোসেন বলেন- আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। তাকে সহ তার পরিবারকে গুম করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আজিজ বলেন,‘আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে’।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd