সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৮
আলী হোসেন, মৌলভীবাজার :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন। আসক ফাউন্ডেশনের শ্রীমঙ্গল অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩ এপ্রিল ওই স্কুলের ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ২ শিক্ষার্থীর বেতন বকেয়া থাকার অজুহাতে টেস্ট পরীক্ষা বন্ধ করে বাহিরে দাঁড় করে রাখে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মেরী মারগ্রেট রিবেরু আরএনডিএম।
এ সময় ২ শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা। বিপদ টের পেয়ে প্রায় ৩০ মিনিট পর প্রধান শিক্ষিকা দুই শিক্ষার্থীকে স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ ঘটনায় দুই ছাত্রের অভিভাবক এম জহুরুল ইসলাম সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অমানবিক এই ঘটনায় শহরে সমালোচনার সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণ মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন হয়। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা স্বপ্রনোদিত হয়ে ঘটনার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় আসক’র শ্রীমঙ্গল দপ্তরের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ২ সদস্যর অনুসন্ধানী দল স্কুল পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক ও গনমাধ্যম কর্মীরা সাথে ছিলেন। জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, স্কুলের ২ শিশুর সাথে প্রধান শিক্ষিকার অমানবিক আচরণে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি দৃষ্টিগোচর আমরা অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেই। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে প্রাথমিক ভাবে স্কুলে সরকারী আইন অমান্য করে স্কুলে কোচিং ব্যবসা চালানো, অতিরিক্ত বিভিন্ন ফি আদায় ও শিক্ষা উপকরণ বেচাকেনাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মেরী মারগ্রেট রিবেরু আরএনডিএম বলেন, ২ ছাত্রের সাথে অমানবিক আচরণের প্রচারিত খবরটি সঠিক নয়। স্কুলে ছাত্রদের কোচিং করানোর কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা এক্সটা ক্লাস নেই, কোচিং নয়। এই এক্সট্রা ক্লাসের জন্য প্রতি ছাত্রদের কাছ থেকে ৭শ’ টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd