সিলেট ১লা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালদের মাধ্যমে বেপরোয়া ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিলেট বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিলেট বিআরটিএ অফিসে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক সিলেট অফিসের কর্মকর্তারা।
অভিযানে সিলেট বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনর রুম থেকে ৫টি ব্লাংক চেক, ৩টি মোবাইল ফোন এবং একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ আছে হকিস্টিক দিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের অত্যাচার করতেন তিনি। এ অভিযোগও দুদকের কাছে রয়েছে। ৩টি মোবাইল যাচাই বাছাই করে সিলেট বিআরটিএ অফিসের পরিচালকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে একটি আবেদন ও গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অভিযোগের কথা অশ্বিকার করেছেন অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক।
তবে এসব অভিযোগের কথা অশ্বিকার করেছেন অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, জব্দ করা মোবাইল ফোন বিভিন্ন অভিযানে জব্দ করা দালালদের। তার রুম থেকে উদ্ধার হওয়া হকিস্টিকটিও তার না। এছাড়া ঘুষ বাণিজ্যের যে অভিযোগে উঠেছে সেগুলোর সঙ্গে তিনি জড়িত না।
দুদক সিলেট অঞ্চল সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানান, বিআরটিএ দেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সংস্থাটির সেবার মান নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দেশের একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘সিলেট বিআরটিএ ৫০ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের প্রস্তুতি’, শিরোনাম দিয়ে নিউজ হলে দুদকের টনক নড়ে। মূলত এই সংবাদের ভিত্তিতে দুদক অভিযান পরিচালনা করে। যদিও এর আগে সিলেট বিআরটিএ ঘুষ দুর্নীতির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd