সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২১
নিজস্ব সংবাদদাতা :: সিলেট ৩ আসনের উপ নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ৩দিন। কয়েক দফা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের পর আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই আসনের বহুল প্রত্যাশিত ঙ্খিত নির্বাচন। নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে এলেও বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী-সর্মথক ছাড়া খনো সাধারণ ভোটারের মধ্যে তেমন কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য (বহিস্কৃত) স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী মোটর গাড়ি মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে তিন লাখ ৩০ হাজার ভোটারের এই আসন। প্রার্থীরা জোর প্রচারণা চালিয়ে গেলেও সাধারণ ভোটারের মধ্যে তেমন কোন আগ্রহ নেই। এর কারণ হিসেবে সচেতন মহল মনে করছেন করোনা মহামারি ও বারবার নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনও এর দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন অনেকে। তারা মনে করেন সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে উদ্ভুদ্ধ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সাধারণ ভোটার যদি ভোট কেন্দ্রে না যায় তবে এর ব্যর্থতা নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।
এবিষয়ে এলাকার সিনিয়র সাংবাদিক এম আহমদ আলী বলেন, বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী-সর্মথক ছাড়া এখনো সাধারণ ভোটারের মধ্যে তেমন কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এটা কেনো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর ব্যর্থতা যেমন প্রার্থীর তেমন কমিশনেরও। এছাড়াও করোনা মহামারি ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোও এর অন্যতম কারণ।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী হাবিবুর রহমান বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাবার প্রতি প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। ৪ তারিখ উৎসাহের সাথে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে।
এবিষয়ে জানতে সিলেটের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফয়সল কাদেরেরে সরকারি ফোন নাম্বারে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর ৯০ দিন পেছালেও ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সে তারিখও নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে পুণরায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে কমিশন। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd