সিলেট ২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১
আজিজুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ থেকে ফিরে :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের পাড়ুয়া (মাঝ পাড়া) গ্রামের একটি বাড়িতে লাইসেন্স ছাড়াই ‘মমতাময়ী মেটারনিটি ক্লিনিক’ এর নামে অবৈধ পন্তায় এক নারী হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। স্থানীয়রা আকলিমা আক্তার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের পাড়ুয়া (মাঝ পাড়া) গ্রামের একটি বাড়িতে কাগজপত্র বিহীন ‘মমতাময়ী মেটারনিটি ক্লিনিক’ এর নাম দিয়ে কোন ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই শুধু মাত্র আকলিমা আক্তার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মমতা প্রজেক্ট এনজিও কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে ওই নারী নিজেকে ডাক্তার সহ ভিন্ন পরিচয় দিয়ে এলাকার সহজ-সরল লোকদের ধোকা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা।
আকলিমা আক্তারের মূল বাড়ি টাঙ্গাইল। সে টাঙ্গাইলের গোপাল পুর থানার মোহাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। আকলিমা প্রায় ৫/৬বছর পুর্বে মমতা প্রজেক্ট এনজিও কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে নিয়ে পাড়ি জমান সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ১নং ইসলাম পুর ইউনিয়ের পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামের ইসলাম পুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। তার চাকরির মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে একটি বাসা ভাড়া করেন। আর সেখানেই তৈরি করেন একটি কাগজপত্র বিহীন ‘মমতাময়ী মেটারনিটি ক্লিনিক এন্ড ডেলিভারি সেন্টার। ক্লিনিক টি কিছু দিন পরিচালনা করার পর আইনগত বাধা আসলে সাইনবোর্ড ব্যনার খুলে ফেলেন। পরবর্তীতে বাসার ভিতরে অবৈধ ভাবে ডেলিভারি সেন্টার খুলে মানুষকে ধোকা দিয়ে ও প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগে প্রকাশ: পারুয়া মাঝপাড়া গ্রামের সোহেল আহমদ বলেন- আকলিমা অনেক দিন যাবত বকুল মিয়া বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে ক্লিনিক বানিয়ে কখোনো ডাক্তার আবার কখনো দাই বেটি পরিচয় দিয়ে প্রতি ডেলিভারী রোগীর কাছ থেকে দশ থেকে পনের হাজার টাকা আদায় করছে। তাদের ভুল চিকিৎসায় অনেকের বাচ্ছা মারাও যায়।
সোহেল আহমদ আরও জানান, ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা: আরিফ হোসেনে ও আকলিমা আক্তারের বাড়ি টাংঙ্গাইল। ডা:আরিফ হোসেন ও আকলিমা আক্তারের একই এলাকায় বাড়ি থাকায় কমিশনের লোভে ডা:আরিফ হোসেন কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশেই একটি বাসা করে মমতাময়ি মেটারনিটি ক্লিনিক তৈরি করার জন্য আকলিমা আকলিমা আক্তারকে চুক্তি নামা করে দেন। চুক্তিতে ডা: আরিফ হোসেনের স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন।
আকলিমা আক্তাররের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি ক্রাইম সিলেটকে বলেন,‘প্যারামেডিকেল কোর্স করা আমার। এখানে সর্বদা ডেলিভারীর রোগীরা আসে। সমস্যা কোথায়? একটা দাই বেটি যদি ডেলিভারী করতে পারে তাহলে আমি করলে সমস্যা কোথায়?। টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন রোগী বেশি টাকা দেয় আবার কেউ কম টাকাও দেয়। কিন্তু তিনি টাকার পরিমাণ বলতে নারাজ’।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা: আরিফ হোসেনের সাথে মোটো ফোনে কথা হলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন পরে তিনি বলেন, কাজ জানা থাকলে এগুলো করা যায় সমস্যা নাই। চুক্তি পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার পরে বলেন বাসা বাড়া করতে আমি স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেছি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রাসেল আহমেদ এর সাথে মোটো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি জানি না। তবে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd