সিলেট ২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২২ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০২১
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে সবকটি পাথর কোয়ারী বন্ধ। আইনি জটিলতা এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ কোয়ারীগুলো। এমতাবস্থায় বিছনাকান্দি পীরের বাজার গরুরঘাট এলাকা থেকে উপজেলা পরিবহন ট্যাক্সের নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী থেকে উঠে আসা পাথর পরিবহনের নামে উক্ত স্থানে টোল প্লাজা বসিয়ে এই টাকা আদায় করা হয়।
ট্রাক ও ট্রাক্টর প্রতি ২০০-৩০০/- টাকা হারে চাঁদা উঠানো হচ্ছে। বিগত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক দেয়া মেয়াদ উর্ত্তীণ পরিবহন ট্যাক্সের আওতায় আওয়ামীলীগনেতা ও নন্দিরগাঁও ইউ/পি চেয়ারম্যান, স্থানীয় শাহীন, ট্রাক পরিবহন শ্রমিক নেতা নামের ব্যক্তি বিশেষের নিযুক্ত ব্যক্তিরা নিয়ম বহিঃর্ভূতভাবে এসব পরিবহন ট্যাক্স তোলে নিচ্ছেন। আদায়কৃত টাকা থেকে স্থানীয় ট্রাক পরিবহন শ্রমিকেদর নামেও ৫০/- টাকা তোলা হয় বলে জানা যায়।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন গোয়াইনঘাট পশ্চিমের সভাপতি হাফিজুলসহ একটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ তৎপরতায় সরাসরি জড়িত বলে জানান, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছিক পরিবহন শ্রমিক ও অগণিত ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে সোমবার পীরের বাজার গরুরঘাট এলাকা পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় পরিবহন ট্যাক্সের নামে প্রতিটি পাথরবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোন ট্রাক বা ট্রাক্টরের চালকরা অবৈধ ট্যাক্সের নামে এসব দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে গালিগালাজ এমনকি মারপিটও করা হয় বলে জানান অগণিত ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা। সরকার ও বিচার বিভাগ থেকে কোয়ারী এলাকায় পরিবেশ বিনষ্টের রক্ষার হাত থেকে এলাকাকে রক্ষার্থে বালু ও পাথর মহাল অবৈধ ঘোষণা করা হলেও এখানে সেই পূর্বেকার বালু ও পাথর মহালের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিন-রাত সমান তালে উক্ত স্থানে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা ট্যাক্সের ইজারাদার দাবীদার এস.কামরুল হাসান আমিরুল জানান তিনি উক্ত বালু ও পাথর মহালের বৈধ ইজারাদার। বৈধ দাবী করলেও তিনি বা তার নিযুক্ত কেউ এ ব্যাপারে কোন প্রমাণাদি প্রদর্শন করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, বালু ও পাথর মহাল ইজারা দেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকারি এই নির্দেশনা গোয়াইনঘাটে কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নের পীরের বাজার গরুরঘাট এলাকায় ট্যাক্সের নামে যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ চাঁদাবাজি। বালু বা পাথর মহালের নামে কেউ ট্যাক্স আদায় করলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য বহুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে এবং অচিরেই এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd