সিলেট ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০২১
ছাতক সংবাদদাতা :: ছাতকে পল্লী বিদ্যুতের নামের সাথেই যেন ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি একাকার হয়ে গেছে। এখানে বিদ্যুতের সরকারি ফি জমা দিলেও ঘুষ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। এতে গ্রাহক হয়রানি চরম আকার ধারণ করছে।
ছাতকে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি, লাইন অপসারণ, মিটার বিকল, মিটার পরিবর্তন, লোড বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সেবায় গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌছে গেছে। সরকারি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়েও ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ যেন পল্লী বিদ্যুৎ আর ঘুষ এখানে একাকার হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলার তকিপুর গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ আব্দুল হাই একটি নতুন বিদ্যুৎ খুঁটির জন্য আবেদন করেন। ওই কারনে তিনি নির্ধারিত ফি ও জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখানে সমস্যা একটাই ওই গ্রাহক ঘুষ দিতে নারাজ। এ কারণে তিনি এখনো সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবরেও একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষে যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এছাড়া ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, মিটার রিডিং না দেখে অতিরিক্ত বিল, গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক সুয়েবুর রহমানের সুপারিশকেও অগ্রাহ্য করে অনিয়ম দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ শাখায়।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মনিরুল ইসলাম গ্রাহক হয়রানিসহ তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd