ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত, ধর্মপাশা থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২১

ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত, ধর্মপাশা থানার ওসি প্রত্যাহার

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত ও হাতকড়া পরিয়ে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

বুধবার রাতে ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সে ঢাবিতে ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আফজাল খানের (২৪) বাড়ি উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে।

আফজাল গত ২৯ মার্চ দুপুরে ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দেন। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় আফজাল নিজ গ্রাম মহেশপুর থেকে জয়শ্রী বাজারে গেলে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলমের ছেলে আল মুজাহিদ (২৫) কয়েকজনকে নিয়ে আফজালের কাছে ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। আফজাল বলেন, হেফাজতে ইসলামকে ব্যঙ্গ করে কোনো পোস্ট দেননি। তবে হেফাজতের আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজের প্রতিবাদে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

Manual4 Ad Code

এ নিয়ে আফজাল ও মুজাহিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে মুজাহিদের পক্ষের লোকজন আফজালকে বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আটকে রাখেন।

Manual5 Ad Code

পরে ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর সেখানে উপস্থিত হন ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন।

এ বিষয়ে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলম ও তার ছেলে আল মুজাহিদ বলেন, হেফাজতকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি। ছাত্রলীগ নেতা তখন ইসলাম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করায় পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখেছিল। তাকে মারধর বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।

Manual3 Ad Code

তবে আফজালের দাবি, ধর্মপাশা থানার ওসির নির্দেশে তাকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল এবং উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার বিবরণ সাদা কাগজে লিখে তাতে সই রেখে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে মঙ্গলবার রাতেই ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..