সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে অন্তত প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণ শেষ হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি সূত্রে পাওয়া গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে আমন রোপণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অসময়ে বন্যার আগমনে তলিয়ে আছে নিম্নাঞ্চল, পতিত জমি আবাদে বাধাগ্রস্ত। বিগত চার পাঁচ দিনে বন্যার পানি কমলে কৃষকের মনে একটু আশা জেগেছিল, গতকাল থেকে আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যার পানি। কৃষকরা এখন উচু জমির রোপায়িত আমন নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে,গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৮০/৯০ ভাগ জমিতে আমন চাষাবাদ শেষ হয়েছে। স্হানীয় কৃষকরা জানান অকাল বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি সহ পতিত জমি। নতুবা আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে শতভাগ রোপন শেষ হয়ে যেত জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গোয়াইনঘাট উপজেলায় চলতি বছর উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান মিলে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অসময়ে বন্যা না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক রফিক মিয়া, রমিজ আলী, তেরা মিয়া, আব্দুল মিয়া, রুমেল আহমদ ও এনামুল হক জানান, আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে আমন রোপণ শেষ হতো। চলতি বছর বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় আমন আবাদ বাধাগ্রস্হ।
তারা আরো জানান, লামার দিকের ক্ষেতের জমিতে উর্বরা শক্তি ও পলি মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় পরিশ্রম ও খরচ কম ফসল বেশি হয়। এই বছর বেশি ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় গোয়াইনঘাট উপজেলার সাধারণ কৃষকগণ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, গতকাল থেকে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, গোটা উপজেলায় ১০ থেকে ২০ ভাগ জমি আবাদ হয় নাই, পতিত রয়ে গেছে। অসময়ে বন্যা না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বন্যার পানি না কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাচ্ছে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টির পরিমাণ ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd