সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কখনও বাবলী, কখনো লুবাবা পরিচয়ে প্রবাসী যুবকদের সাথে প্রেমই তার নেশা, মিষ্টি কথার জাদুতে মানুষ ঠকানোকে যিনি রীতিমত পেশায় পরিনত করেছেন। তার রয়েছে নিজস্ব সিন্ডিকেট। যারা কখনো ভাই, কখনো দুলাভাই, কখনো বাবা, কখনো মামা, মামী এবং খালারা নানা চরিত্র ধারন করেন। এই সিন্ডিকেটের প্রতারনা শিকার হয়েছেন সম্প্রতি কানাইঘাটের গাছবাড়ী ভাটরকোনা গ্রামের কাতার প্রবাসী আদনান। সমাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যেমে প্রথমে বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তীতে বাবুলের মেয়ে বাবলী পরিচয়ে নিজেকে মেডিকেলের মেধাবী ছাত্রী দাবী করে এবং সুদর্শনা মেয়ের ফেইক ছবি পাঠিয়ে আদনানকে প্রেমের মায়াজালে জড়ান লুবাবা (আসল নাম)। এরপরই শুরু হয় নতুন খেলা নানা অজুহাতে আদনানের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমন কি তার ভাই পরিচয়ে তার সহযোগী আফরোজ হাতিয়ে নেন ৫০ হাজার, ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে কুতুব উদ্দিন নামীয় ব্যাক্তি নেন ৩০ হাজার টাকা। এক সাংবাদিক নামধারী তার মামা পরিচয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেসবুক ভিডিও কলের মাধ্যমে গত ১৪ আগস্ট কথিত বিয়ের আয়োজন করেন। পরবর্তীতে তাদের কথা বার্তা ও চালচলনে আদনানের সন্দেহ হলে খবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বাবুল মিয়ার মেয়ে বাবলীর সাথে তার কথা হয় তিনি আসলে বাবলী নন, তার পুরো নাম লুবাবা এবং পিতা গাছবাড়ি নারাইনপুর গ্রামের আব্দুর রহমান। জানার পর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে আদনানের মাথার উপর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল দিয়ে এ প্রতারনার কারন জানতে চাইলে লুবাবা নিজের মুখে তার সকল প্রতারণার কথা স্বীকার করে তাকে ক্ষমা চেয়ে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়ার অনুরোধ করেন। আদনান প্রতি উত্তরে বলেন আমি তোমাকে নয় বাবলীকে বিয়ে করেছি। তাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কয়েকজন মানুষের সম্মুখে তারপরই ভিডিও কলেই তাকে তালাক দেন। পরবর্তীতে লুবাবা শুরু করেন আসল খেলা তিনি আদনান কে সম্মান হানির হুমকি দিতে থাকেন এবং কথিত এক হলুদ সাংবাদিক এর যোগসাজশে একটি ভুয়া অভিযোগ দায়ের করেন কানাইঘাট থানায়। সেখানে আদনানসহ তার ভাই লোকমান, কামরান, আদনানের অসুস্থ মা, তার ভাবী চাচাত ভাই আলম ও ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহ কে আসামী করা হয়। কাতার থেকে প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে আদনান জানান আমি প্রায় ৭ বছর থেকে কাতারে অবস্থান করছি এবং প্রতারক লুবাবার ব্যাপারে আমার পরিবারের অন্য কোন সদস্য অবগত নয়। উল্লেখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের বাড়িতে গেলে জানতে পারে অভিযুক্তরা প্রামের বাড়িতে থাকেইনা বরং সিলেট শহরে প্রায় একযুগ ধরে তারা বসবাস করে আসছেন। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার কর্মকর্তা রাজিব মন্ডলকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, একটি বিয়ের ভিডিও চিত্র দেখে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। অভিযোগে অনেক তথ্য গোপন করা হয়েছে, এই বিষয়ে প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নি। উপরে উল্লেখিত সংবাদের সকল প্রমাণাধি ভিডিও, ভয়েস, ছবি ও টাকা প্রদানের রশিদ সিলেটের দিনকাল অফিসে রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd