কে সেই মাষ্টার জসিম উদ্দিন

প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০

কে সেই মাষ্টার জসিম উদ্দিন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগীতায় একজন শিক্ষার্থীর বন্ধুর পথ মসৃণ হয়। তারাইতো সৌভাগ্যবান যাদের কিনা শিক্ষকদের নি:স্বার্থ ও নির্মল ভালোবাসা পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতার জীবনে অভয়, শাসন, ব্যক্তিত্ব দিয়ে এমনকি অদৃশ্য বাঁধনে শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে রেখেছেন তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক মাষ্টার মো. জসিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খুরমা দক্ষিন ইউনিয়নের চৌকা গ্রামে তাহার জন্ম। পিতা. মরহুম আব্দুল জলিল ও মাতা. মরহুমা মমতাজ বেগম।

জানাযায়, মো. জসিম উদ্দিন উপজেলার চৌকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেনী, নতুন বাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (ধারন বাজার) ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত ও ছাতক সিমেন্ট ফেক্টরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে (এসএসসি) বিজ্ঞান বিভাগে দুটি লেটার মার্কসহ ১ম বিভাগে এবং ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে (এইচএসসি) পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে ২য় বিভাগে উত্তীন হন তিনি। সর্বশেষ সিলেট এমসি কলেজ থেকে ২য় বিভাগে উত্তীর্ন হয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন।

এসএসসি পাশের পর অথ্যাৎ ১৯৮৭ সালে স্থানীয় ধারন বাজারে “বিদ্যা নিকেতন কোচিং একাডেমী” নামে প্রতিষ্টান গড়ে তুলেন। পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক হিসাবে সুনামের সহিত ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্টান পরিচালনা করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত অনারারী শিক্ষক হিসাবে নতুন বাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে (সাধারন গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান) বিষয়ে পাঠদান করেন। ১৯৯১ সালে গাবুর গাঁও দাখিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ওই মাদরাসায় সুনামের সহিত পাঠদান করেন।

ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন। শালিস কার্যক্রমেও ছিল তাঁর পদচারনা। ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল ও পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনে স্থানীয় ভাবে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা।

১৯৯৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিনি ব্যবসার জন্য চলে যান ইউনাইটেড আরব আমিরাত। সেখানে আল-হানিয়া পেইন্টস্ এন্ড ডেকর কন্সট্রাকশন নামে নিজস্ব মালিকাধিন একটি প্রতিষ্টান গড়ে তুলেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সফলতার সহিত ব্যবসা পরিচালনা করেন। এর পর দেশে ফিরে আবার সমাজ উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশে অবস্থান করেন। ২০১১ সালে ফের পাড়ি দেন সুলতানাত অব উমান। মাসকট আল-সিব এলাকায় হাই পিক কন্সট্রাকশন (এলএলসি) নামে একটি প্রতিষ্টান গড়ে সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

এ বিষয়ে শামীম আহমদ তালুকদার বলেন, “বিদ্যা নিকেতন কোচিং একাডেমী’তে স্যারের নিকট বেশ কয়েক বছর লেখা পড়া করেছি। গণিতে স্যারের দক্ষতা অনেক ভাল। আমার অনেক প্রিয় শিক্ষকদের মধ্যে স্যার একজন। আমার প্রিয় শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে শিক্ষকদের নি:স্বার্থ ও নির্মল ভালোবাসা পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।

মাষ্টার মো. জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, জীবনের দীর্ঘ সময় এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছি। প্রবাসে থেকেও এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত চৌকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভূমি দাতা সদস্য রয়েছি। যদিও আমি প্রবাসে মনটা দেশে পড়ে আছে। দেশের জন্য সব সময় মনটা কাঁদে। ছোট বেলা থেকে অনেক সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। এখন একটা স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নিজ এলাকায় একটি হালাকা-মাঝারি শিল্প প্রতিষ্টান গড়ে তুলতে চাই।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..