সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
সিলেট :: এইচআইভি আক্রান্ত মানুষদের সেবা প্রদানে সিওমেক হাসপাতালের চিকিৎসকগন প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এসব মানুষকে সেবাপ্রদান করে আমাদের চিকিৎসকগন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এপর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের সেবার আওতায় ৫৬ জন এইচআইভি আক্রান্ত মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সিলেট বিভাগের এইচআইভি নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীরা সারা বছর এই হাসপাতাল থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধসহ অন্যান্য সেবা নিয়ে থাকেন। বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মোঃ ইউনুছুর রহমান।
১লা ডিসেম্বর বিশ^ এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিনের শুরুতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি আযোজন করা হয়। হাসপাতালের পরিচালকের নেতৃত্বে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, অধ্যাপক, চিকিৎসক, সেবিকা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতাগন র্যালীতে অংশ গ্রহন করেন। হাসপাতালের আশেপাশের সড়ক প্রদক্ষিন শেষে হাসপাতালের গোল চত্ত¡রে এসে র্যালীটি শেষ হয়। র্যালী শেষে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতলের পরিচালক বিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইউনুছুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পিএমটিসিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ মোতাহের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে হাসপাতালের এইচআইভি কার্যক্রম নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আবসিক চিকিৎসক ডাঃ আবু নঈম মোহাম্মদ।
আলোচনা পর্বে অংশ গ্রহন করেন রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এফএমএ মোঃ মুসা চৌধুরী গাইনী বিভাগের প্রধান ডাঃ নাসরিন আক্তার, নবজাতক বিভাগের ডাঃ মোঃ আব্দুল হাই মিয়া সহ বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ।
সভায় আলোচকগন সিলেটের এইচআইভি কার্যক্রম গতিশীল করতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহন নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় বক্তাগন বলেন যেহেতু অভিবাসী অধ্যূষিত এলাকা তাই এখানে এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রমের আঙ্গীক একটু ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডাঃ হিমাংশু লাল রায় তার বক্তব্যে বলেন সেবাদান কারীদের কে অবশ্যই বৈষম্যহীন ভাবে সেবা প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের সমাজে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠি রয়েছে তাদেরকে সেবা আওতায় না আনতে পারলে আমরা কেউই নিরাপদ থাকতে পারবনা।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আযাদ, সেবা তত্ত¡াবধায়ক, নাসিং এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও চতূর্থ শ্রেণরি সরকারী কর্মচারী সমিতির সভাপতি, পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, সিলেটে এপর্যন্ত সনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫১ জন এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৯৪ জন। বাকীদের মধ্যে ৫০১ জন সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মৌলভী বাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। সরকারী অর্থায়ানে এ রোগীদের মধ্যে ঔষধ এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাপসাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd