সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯
বন্ধু প্রতিম পার্শবর্তী দেশ ভারতের জৈন্তা পারবর্ত্য জেলার মিহ-মাইন্ডু থেকে সারী নদীর উৎপত্তি। আর এ উৎপত্তিস্থল থেকে নেমে আসা সচ্ছ জলরাশির ঢেউ আর আঁকাবাকা নদী তীর নিয়ে আবহমানকাল থেকে এ নদীর রয়েছে অনেক ইতিহাস আর ঐতিহ্য। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে এযাবৎ পর্যন্ত সৃষ্ট সকল বন্যায় দিন দিন ক্ষয় হয়ে আসছে এ নদীর দুটি তীর। অপর দিকে পুড়াখাই নামে একটি শাখা নদী শতাধীক বছর থেকে সৃষ্টি হয়েছে যাহার উৎপত্তিস্থল ঐ সারী নদী। পর্যটন এলাকাখ্যাত সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলাধীন সারীঘাটস্থ (দক্ষিণ পাড়) নামক স্থানে। সাম্প্রতি ঐ শাখা নদী (পুড়াখাই)’র উৎপত্তিস্থল নদী ভাঙ্গনে বিলিন হলে হুমকির মূখে রয়েছে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক।
আবহমানকাল থেকে এ নদীর বুক চিরে সৃষ্ট বন্যা আর পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙ্গনের কারনে যে কোন সময় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বালু বোঝাই ইঞ্জিন নৌকা,স্পীড বোড চলাচল এবং সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পাথর কোয়ারি ও জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর পাথর কোয়ারি থেকে উত্তলনকৃত পাথর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেওয়ার পথে পাথর বোঝাই ট্রাকের অভার লোডের কারনে সারী পোড়াখাই নদীর উৎপত্তিস্থল দিন দিন নদী গর্ভের সাথে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। যার কারনে যে কোন মুহুর্তে সারী-নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে সিলেট তামাবিল মহাসড়কটি।
অপর দিকে প্রতিনিয়ত শংকায় রয়েছেন স্কুল/ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী শিক্ষক এবং পথচারী ছাড়াও প্রতিনিয়ত যাতায়াতকৃত যানবাহন চালক এবং দেশ বিদেশ থেকে আগত পর্যকটরা।
বিষয়টি সা¤প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরে আসলেও নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে, শুধু মাত্র বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও নেওয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোন পদক্ষেপ। অন্য দিকে বাশের বেড়া নির্মানের সময় সওজ কর্তৃক বন বিভাগের রূপায়িত কয়েকটি গাছ কর্তন করে আরোও ঝুকির মধ্যে ফেলেছে এ মহাসড়কটিকে।
সরেজমিনে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, সরকার সময় মতো জন গুরুত্বপূর্ন এ মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ না নিলে। সারী নদীর উপর শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সারী ব্রীজসহ গোটা জৈন্তাপুর উপজেলা সদর জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মাসুম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারন ছাড়াও এ মহাসড়ক ধ্বসের কারন হলো বালু বোঝাইকৃত অতিরিক্ত ইঞ্জিন নৌকা চলাচল। আমরা ইতিপূর্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে নদী তীর ভাঙ্গনের তথ্য দিয়েছি। এছাড়া সারী-নদীর তীর ভাঙ্গন ঠেকাতে সাময়িকভাবে বাশেঁর বেড়া দিয়ে রেখেছি। পর্যাপ্ত বরাদ্ধ পেলে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা তবে এখন অবগত হয়েছি। আর যেহেতু এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্বায়িত্বে রয়েছে তাদের সাথে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd