গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে নিহত মাকে খুঁজছে ছোট্ট শিশু তুবা

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে নিহত মাকে খুঁজছে ছোট্ট শিশু তুবা

Manual2 Ad Code

মেয়েকে ভর্তির জন্য ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে মারা যান তাসলিমা বেগম রেনু।

Manual5 Ad Code

এক গুজবেই সব শেষ হয়ে গেছে ছোট্ট শিশু তাসলিমা তুবার (৪)। সে হারিয়েছে তার প্রিয় মা তাসলিমা বেগম রেনুকে। ঢাকার বাড্ডায় গুজবের গণপিটুনিতে নিহত রেনুর শিশুকন্যা তুবা মাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছে।

মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলেই তুবা বলে, তার মা ড্রেস আনতে গেছে। তার জন্য জুস আনতে গেছে। মা আসবে। আবার বলে মা আমাকে ভাত খাইয়ে দিবে। কিন্তু সে জানে না তার মা আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। মঙ্গলবার দুপুরে তুবার বিষয়ে জানতে চাইলে তার খালা নাজমুন নাহার নাজমা এসব কথা বলেন।

এদিকে রেনু হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মায়ের নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে শিশু তুবাও মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনের ব্যানারে মায়ের ছবির দিকে অপলক তাকিয়ে ছিল তুবা। এ সময় তার চোখে-মুখে ছিল মাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি।

নিহত রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমা বলেন, আদরের বোনটাকে এভাবে হারাতে হবে ভাবিনি। গুজব আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। গুজব ছড়িয়ে একজন নারীকে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে এটি মেনে নেয়া যায় না। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যেন আর কোনো মানুষ এভাবে গুজবের বলি না হয়।

Manual1 Ad Code

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়।

পর দিন রোববার রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর প্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

এ ঘটনায় তার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..