নাইট ক্লাবের অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার সৌদি কর্তৃপক্ষের

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯

নাইট ক্লাবের অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার সৌদি কর্তৃপক্ষের

সম্প্রতি সৌদি আরবের মত রক্ষণশীল দেশে নাইটক্লাব চালু হওয়ার একটি খবর বেশ প্রচার পায়। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সৌদি আরবের বিনোদন কর্তৃপক্ষ জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি (জিইএ) এই খবর অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জিইএ তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানায়, উপকূলীয় শহর জেদ্দায় কোন নাইট ক্লাব খোলার অনুমতি দেয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জিইএ এর কাছে সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী জেদ্দার ওই ঘটনাটি (প্রজেক্ট এক্স)  আইন এবং নিয়মের লংঘন।  এধরনের কাজের কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি।’

জিইএ জানায়, তারা অন্য একটি অনুষ্ঠানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছিল। কিন্তু চুক্তিকারী প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের কিছু অংশের সুবিধা নিয়ে এধরনের গুরুতর এবং অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড করেছে।  শিগগিরই এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে জিইএ।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের আঞ্চলিক কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জেদ্দায় হালাল নাইট ক্লাবের উদ্বোধন করা হচ্ছে। দুবাই এবং বৈরুতে বিশ্বখ্যাত হোয়াইট ব্র্যান্ডের নাইট ক্লাব রয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দায়ও এর শাখা খোলা হচ্ছে বলে খবরে জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠান নিয়ে হোয়াইট সৌদি আরাবিয়ার ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী নে ইয়ো ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, রাত ১০ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ক্লাবটি খোলা থাকবে বলে জানানো হয়। টিকেটের মূল্য রাখা হয় ৫০০-১০০০ সৌদি রিয়াল।  অবশ্য এই ক্লাবে মদ্যপান করা যাবে না বলেও জানানো হয়।

সৌদি আরবের মত দেশে এধরনের নাইট ক্লাব খোলার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকেই এটিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিক সৌদি আরবের পথে চলার জন্য সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রশংসা করেন।

কিন্তু বেশিরভাগই হালাল নাইটক্লাবের ধারণার সমালোচনা করে মন্তব্য করেন।  টুইটার ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ ডিস্কোইনজেদ্দা ব্যবহার করে টুইট করেন।  কেউ কেউ এটিকে সৌদি আরবের ইসলামী পরিচয় এবং ঐতিহ্যের লংঘন বলে উল্লেখ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী লিখেন, এটিকে ইসলামের সংস্কার না বলে অধঃপতন হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।  যারা আধুনিকতার নামে আমাদেরকে  নিজ ধর্মের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে চান তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়ুক।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..