সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ :: আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে ২৭জানুয়ারী থেকে আগামী এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এদিকে আদালত থেকেও নিশেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু আদালত ও সরকার নির্দেশ অমান্য করেই তাহিরপুরে কোচিং বানিজ্য শুরু হয়েছে। রীতিমত ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানোর প্রজেক্ট নিয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেরাই। আর পরীক্ষায় হলে ডিউটিতে থেকে পাশ করিয়ে দিবেন এমন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন উপজেলার কিছু শিক্ষকগন। আর ঐসব শিক্ষকগন কৌশলে এসএসসি পরীক্ষার হলে ডিউটি নিচ্ছেন। এবং পরীক্ষার হলে ডিউটি করছেন আর শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা করেছেন শর্ত অনুযায়ী। এই সিষ্টেমটি উপজেলায় র্দীঘ কয়েক বছর ধরেই চলছে বলে একাধিক স্থানীয় সূত্রে জানাযায়। আর পাশ করার আশায় এবং ঐ শিক্ষকের সহযোগীতা নিতে পারবে পরীক্ষার হলে তাই অনেক শিক্ষার্থীরাই এসব শিক্ষকের কাছে নির্দিষ্ট স্থানে পাইবেট পড়ছে। আর এই সুযোগে বিদ্যালয় ফাকিঁ দিয়ে স্কুলের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে ও নিজ বাড়িতে দৈনিক ৫-৭শীপ্ট আর প্রতি শীপ্টে ২০-২৫শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছে শিক্ষকগণ। প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩-৫শত টাকা নিচ্ছে তাও আবার মাসে ১৫দিনে। আর এমন অভিযোগ উঠেছে তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যা সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ের মাসিক মিটিংয়ে অভিযোগ উঠছে। তারা হলেন,মালে হোসেন(সহঃশিক্ষক,বিজ্ঞান),মোত্তাকিন হোসেন (সহঃ শিক্ষক,ইংরেজী),তরিকুল ইসলাম (সহঃশিক্ষক,কৃষি),সৌরভ মিয়া (সহঃশিক্ষক,গণিত)। কিন্তু তারা নিজ নিজ পাঠ্য বিষয় না পড়িয়ে গুরুত্বপূর্ন অন্যন্য বিষয় গুলো প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। তারা নিজ নিজ ক্লাস না করে অতি আগ্রহী হয়ে যে বিষয় গুলো স্কুলের গুরুত্বপূর্ন গনিত,ইংরেজী,বিজ্ঞান বিষয় সে গুলো ক্লাস বেশী বেশী নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ায় আর কৌশলে প্রাইভেট পড়তে আগ্রহী করে। শুধু তাই নয় প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় মার্ক কম দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে কোন শিক্ষার্থী বলার সাহস পায় না কারন পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে। আর চ্যালেঞ্জ করবে এমন চিন্তাও মাথায় রাখেনা ঐসব শিক্ষার্থীরা। কারন তারা হাওর পাড়ের বেশীর ভাগ গরীব পরিবারের সন্তান। এছাড়াও আরো জানাযায়,তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই সুযোগে কাজে লাগিয়ে সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাইভেট পড়ায় পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিবে বলে।
উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন,স্কুলে সঠিক ভাবে ক্লাস করানো হলে কোন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হয় না। শিক্ষকরা স্কুল গিয়ে কোন রকমে স্বাক্ষরটা করতে পারলেই স্কুল ফাকিঁ দিয়ে চলে যাওয়ার কারনেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছে না। আর পাঠ্যদান যে বিষয়ের শিক্ষক তিনি না থাকায় সঠিক ভাবে পাঠ্যদান হয় না। প্রাইভেট যেহেতু বন্ধ তাহলে কোন শিক্ষক যাতে করে কোন ভাবেই প্রাইভেট পড়াতে না পারে বরং স্কুলে নিয়মিত পাঠ্যদান করে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে প্রতিষ্টানের প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে। সঠিক তদারকি না থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আর ঐসব শিক্ষককে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে না পারে তার ব্যবস্থাসহ কঠিন শাস্থির দাবী জানান তারা।
উল্লেখ্য,কোচিং বাণিজ্যকে একটি নতুন ধরনের অপরাধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে করা এক রিটের শুনানিতে গত রবিবার (২৭জানুয়ারি) হাইকোর্ট এ রায় দেন। রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন,ক্লাস রুমে পড়ানোর ব্যর্থতার কারণেই কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে। এটি একটি নতুন অপরাধ। শুনানি শেষে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে রায় পিছিয়ে আগামী ৭ফেব্রæয়ারি ধার্য করা হয়েছে। গত রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সম্বনয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন। প্রসঙ্গত,পৃথক এ পাঁচটি রিট আবেদন করা হয় ২০০৫,২০১২,ও ২০১৮সালে।
মালে হোসেন(সহঃশিক্ষক,বিজ্ঞান)কিন্তু তিনি পড়ান ইংরেজী ও গনিত উনার মোটোফনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
মোত্তাকিন হোসেন (সহঃ শিক্ষক,ইংরেজী)কিন্তু প্রাউভেট পরান গনিত তাহার কাছ থেকে জানতে তিনি প্রাইভেট পড়ানোর কথা অস্বীকার করেন।
তরিকুল ইসলাম (সহঃশিক্ষক,কৃষি)কিন্তু প্রাইভেট পরান গনিত ও আইটিসি তিনিও প্রাইভেট পড়ানোর কথা অস্বীকার করেন।
সৌরভ মিয়া (সহঃশিক্ষক,গণিত) কিন্তু তিনি পড়ান ইংরেজী তিনি কল রিসিভ করেন নি।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রিন্সিপাল ইয়াহিয়া তালুকদার বলেন, তারা প্রাইভেট পড়ায় কেন পড়ায় কি জন্য তা আমি জানিনা। তবে দেখি স্কুল ছুটি হওয়ার ও তারা প্রাইভেট পড়ায়।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমার জানা নেই আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কল দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd