ডলার আত্মসাতের অভিযোগে হোপটন সিইও রুবানি গ্রেফতার, বিপাকে বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯

ডলার আত্মসাতের অভিযোগে হোপটন সিইও রুবানি গ্রেফতার, বিপাকে বাংলাদেশিরা

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নিউইয়র্কে মেডিকেইডের ১১ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি হোপটনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারাহ রুবানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ইতোমধ্যে রুবানির বাড়ি-গাড়িসহ সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। রুবানি একজন পাকিস্তানি আমেরিকান। তার স্বামী রিচার্ড ট্রিকারিও ৫০ প্রিসিংটের একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

Manual4 Ad Code

এদিকে হোপটন বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও। এ কোম্পানিতে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি গত চার সপ্তাহ ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তারা ট্যাক্স ফাইলের জন্য ডব্লিউ-২ পাবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে দায়ের করা সিভিল স্যুটে বলা হয়েছে, ফারাহ রুবানি এবং তার অংশীদাররা শিশুদের (অটিস্টিক বা ডিজেবল) জন্য হোম কেয়ারের নামে নিউইয়র্ক স্টেট মেডিকেইড থেকে বিলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছেন। অথচ দেখা গেছে কোনো শিশুকেই তারা হোম কেয়ার দেননি। যে শিশুদের সেবা দেয়ার কথা বলে তারা অর্থ তুলে নিয়েছেন সেই শিশুদের মা-বাবাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

Manual1 Ad Code

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, এই প্রকল্প থেকে রুবানি একাই চার মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন। ৫১ বছর বয়সী ফারাহ রুবানির বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম ডিগ্রির ‘গ্র্যান্ড লার্সেনির’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা গেছে, হোপটনের সব কার্যালয় এখন বন্ধ রয়েছে। এ কোম্পানিতে কর্মরতরা প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের বেতনের জন্য যোগাযোগ করছেন অফিসে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। হোপটনের বিরুদ্ধে হেলথ ফাস্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছে বলে জানা গেছে।

হোপটনের ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারের স্টারলিংয়ে কর্মরত বাংলাদেশি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এ কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের চেক পেয়েছি। এখন চার সপ্তাহের চেক বাকি আছে। এ চেক আমরা কার কাছে থেকে পাব জানি না। আমার মতো অনেক বাংলাদেশি এ সসম্যায় রয়েছেন।

হোপটনের ব্রুকলিনের কনি আইল্যান্ডে কর্মরত বাংলাদেশি আব্দুল হাই বলেন, আমি চার সপ্তাহ ধরে বেতন পাই না। আমাদের কাজ আদৌ আছে কি না সেটিও জানি না। তবে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছি ট্যাক্স ফাইল করার জন্য ডব্লিউ-২ পাব কি না তা নিয়ে? তিনি বলেন, শুধু আমি নয়, আমার মতো অনেক বাংলাদেশি একই সমস্যায় রয়েছেন।

Manual7 Ad Code

একাধিক সূত্র জানায়, হোপটন অন্য কোম্পানির চেয়ে অর্থ বেশি দিয়ে কর্মচারী নিয়োগ করত। এ কারণে কোনো কিছু চিন্তা না করেই বাংলাদেশিসহ অনেক প্রবাসী এ কোম্পানিতে যোগ দিতেন লোভনীয় অফারে। এছাড়া কোম্পানিতে কর্মচারীদেরও বেশি শ্রম দিতে হত না, কারণ ফারাহ রুবানি ওই কর্মচারীদের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে অনেক বেশি কর্মঘণ্টা দেখিয়ে পুরো অর্থগুলোই আত্মসাৎ করতেন।

Manual3 Ad Code

হোপটন বন্ধ এবং ফারাহ রুবানি গ্রেফতার হওয়ার পর বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ ধরনের কাজ থেকে বাংলাদেশিদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..