সুনামগঞ্জের বাগলী সীমান্তে পাচাঁরের সময় ৮০টন কয়লা আটক

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৮

সুনামগঞ্জের বাগলী সীমান্তে পাচাঁরের সময় ৮০টন কয়লা আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের বাগলী সীমান্তে বিজিরির সোর্স পরিচয় দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরের সময় ৮০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিএসএফ ও বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ৩০.১১.১৮ইং শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের ১১৯৩নং পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এউপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের রংঙ্গাছড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে চোরাচালানী মস্তোফা মিয়া মস্তো,একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান ছেলে আলী হোসেন,বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে হযরত আলী ও মৃত জামাল মিয়ার ছেলে মঞ্জুল মিয়া নিজেদেরকে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সোর্স পরিচয় দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৮০টাকা,থানার নামে ৪০টাকা,স্থানীয় সাংবাদিকদের নামে ৩০টাকা,বাগলী কয়লা আমদানী কারক সমিতির নামে ৫০টাকা ও সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নামে ৫০টাকা করে সর্বমোট ৪লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে ১৬০০বস্তা(৮০মে.টন)কয়লা পাচাঁর করে বাগলী নদীর পশ্চিম তীরে মজুত করে নৌকা বোঝাই করার সময় বিএসএফ কয়লা আটক করে বিজিবিকে খবর দেয়। পড়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালায়।

বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ১০মে.টন কয়লা বিজিবি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং ভারতের সীমানায় থাকা ৭০মে.টন কয়লা আটক করে বিএসএফ নিয়ে যায়। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী উপরের উল্লেখিত ৪জন চোরাচালানী অভিযানের সময় বিজিবির সাথে থাকলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি।

এছাড়াও গত একমাসে ৫০০মে.টন কয়লা ও ২হাজার মে.টন চুনাপাথর ভারত থেকে পাচাঁর করে নৌকা যোগে নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার মনতলা এলাকার আজিজ আরতদারের ডিপুতে নিয়ে মজুত রেখে বিক্রি করেছে সোর্স পরিচয়ধারীরা। অন্যদিকে ভোর ৫টায় বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার ১বস্তা কয়লা থেকে ১২০টাকা করে চাঁদা নিয়ে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,জিয়াউর রহমান,আব্দুল আলী ভান্ডারীকে দিয়ে ১০মে.টন ও ৭ কার্টন অফিসার চয়েজ মদ পাচাঁর করাসহ টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী ল্যাংড়া বাবুল ও ইসাক মিয়ার নেতৃত্বে ১৬মে.টন কয়লা ও ২০০পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে বড়ছড়া,বিন্দারবন্দ,তেলিগাঁও ও বানিয়াগাঁও গ্রামে নিয়ে মজুত করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে চাঁরাগাঁও,বাগলী ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের কয়লা ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন,সেলিম মিয়া, সাব্বির হোসেন,জমির আলী,আক্কাস আলী,ওলি উল্লাহ,ফয়সাল আহমেদ,রজব আলী,কাসেম মিয়া,দিন ইসলামসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,উপরের উল্লেখিত একাধিক মামলার জেলখাটা আসামীরা প্রতিদিন সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথরসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না।

বীরেন্দ্রনগর বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার ফরিদ বলেন,বাংলাদেশের সীমানায় মজুত করা চোরাই কয়লা আটক করে নিয়ে এসেছি আর সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুর রহমান বলেন,সীমান্ত এলাকায় আমার কোন সোর্স নেই,বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে কেউ চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলে তাকে বেঁধে আমাকে জানালে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব,চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..