সিলেট ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম মানিক মিয়ার কাছে আশ্রয় নিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। এ ঘটনাটি ‘শয়তানের’ পাল্লায় পড়ে করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন এই ইমাম।
গত রোববার (২১ অক্টোবর) রাতে ইমামের শয়নকক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে। এরপর রক্তক্ষরণ অবস্থায় মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই রাজিবুল ইসলাম, এএসআই জসিম উদ্দিন, বিধান রায়সহ একদল পুলিশ আলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। সে চুনারুঘাট উপজেলার আবাদ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর মানিক মিয়া পুলিশকে জানায়, রোববার রাত প্রায় ৯টায় এক কিশোরী তার কক্ষের দরজায় এসে ধাক্কা দেয়। দরজা খুললে ওই কিশোরী বলে সে বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে এসেছে। রাত যাপনের জন্য তার কাছে আশ্রয় চায়। পরে একই বিছানার মাঝখানে লেপ দিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। মাঝরাতে ‘শয়তানের পাল্লায়’ পড়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, রোববার দিবাগত রাত প্রায় ৯টায় আলাপুর এলাকার এক কিশোরী বাবা-মা’র সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। মেয়েটি রাত যাপনের জন্য অন্য কোন স্বজনের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে আলাপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মানিক মিয়া মেয়েটিকে রাতের বেলা একাকী দেখে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। মেয়েটি তার বাড়ি থেকে অভিমান করে বের হয়ে আসার কথা ইমাম মানিক মিয়াকে জানায়। এ সুযোগে ইমাম মানিক মিয়া মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে যান। রাতে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ফলে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে সে বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে স্বজনরা তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মানিককে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ভিকটিমকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd