দলদলী চা বাগানে প্রকাশ্যে চলছে তীর খেলা, কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিরব

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮

দলদলী চা বাগানে প্রকাশ্যে চলছে তীর খেলা, কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিরব

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: বিকাল বাড়ার সাথে সাথে চা বাগানে পরিবেশ হয়ে যায় অন্য রকম। বাগানের ভিতর প্রকাশ্যে তীর খেলা চলে। এসব এর মূল হোতা হল মনু দাশ সে বাগানের যুবক লিডার বলে দাবী করে। তার সাথে যোগাযোগ হলে সে স্বীকার করে যে সে এখানে যত বোর্ড বসে যে সেগুলোর মালিক। বাগানের যত ধরনের কাজে গাজা, ইয়াবা সব ধরণের মাদকের ব্যবহৃত কাজে কমিশন পায়। সে আর বলে যে প্রসাশন প্রতিদিন তাদের তাদের কাছে থেকে টাকা আদায় করে, মনু দাশ আরো বলেন যে বেকারত্ব দূর করার জন্য বাগানের চা শ্রমিকদের দিয়ে তিনি তীর খেলা চালান।
বাগানে অনেক চা শ্রমিকদের চাকুরি দেয়া হয় না, সব ধরনের সুযোগ সুবিধা মনু দাশ পান না, বাগানের মেম্বার ও বাগানে ম্যানেজার কাজ থেকে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশা থাকলেও তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

তার কথার প্রেক্ষিতে আমরা যোগাযোগ করি বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিন্টু দাশের সাথে। তিনি দায় সারাভাব নিয়ে বলেন বাগানের ভিতর এগুলো সামান্য পরিমাণে হতেই পারে।

Manual6 Ad Code

তারপর যোগাযোগ করি বাগানের খালেদ মেম্বার এর সাথে তিনি বললেন এসব বিষয়ে তিনি অবগত না। তিনি আরও বলেন যদি এই ধরনের কোন অকার্জ কাজ বাগানে ভিতর হয়ে থাকলে প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী জানান তরিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাগানের এক চা শ্রমিক আমাদেরকে বলেন বাগানে পঁচাশি (৮৫) টাকা মুজুরিতে অনেকেই ভাত খেতে পারে না আবার পঁচাশি (৮৫) টাকা মুজুরীতে অনেকের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে। এই তীর খেলার জন্য অনেক চা শ্রমিক পরিবার ধ্বংসের পথে। শুধু প্রকাশ্যে তীর খেলা চলছেনা।

প্রকাশ্যে মাদকের ব্যাবসাও চালিয়ে যাচ্ছে আরেক চা শ্রমিক দীপেন দাশ। ইয়াবা ও গাঞ্জার ব্যবসা বাগানে প্রকাশ্যে যারা করতেছে তারা হল, বল দাস, লীপি দাস।

তীর খেলা বোর্ডের যারা যারা জড়িত আছে তারা হল:-সুমন দাশ, সনাতন দাশ, লিটন দাশ, হিরালাল দাশ, রাম দাশ প্রমুখ।

আমরা যোগাযোগ করি বাইশ বাগানের সভাপতি রাজু গোয়ালার সাথে, তিনি বলেন দলদলি চা বাগানের ভিতর যে বা যারা এসব কাজে লীপ্ত সে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হউক বা মেম্বারই হোক না কেন তাদের সবার নামে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেব।

আমরা কথা বলি বাগানের এসিষ্ট্যান ম্যানেজার মাহবুবুল আশরাফের সাথে তিনি আমাদেরকে এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য সব সহযোগিতা পাওয়ার আশ্বাস দেন।

এরপর কথা হয় বাগানে কর্তব্যরত ম্যানেজার আশরাফুল মতিনের সাথে তিনি বলেন এসব বিষয়ে কটোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছেন।

কথা হয় আম্বরখানা পুলিশ ফাড়ির কর্তব্যরত অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর আকবর হোসেনের সাথে, তিনি আমাদেরকে বলেন বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি নিয়ে অনেকবার এসব অকার্জমূলক কাজ বন্ধ করার জন্য দাবি জানানো হয়। বাগানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি। তিনি আরও বলেন আমার বিশ্বাস বাগানে বসবাসরত মানুষরাই এসব অকার্জমূলক কাজে পুরোপুরি লিপ্ত।

Manual7 Ad Code

এয়ারপোর্ট থানার ওসি গৌছুল আলমকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

Manual7 Ad Code

কে সেই মনো দাশ ৬ বছর আগে সে শিবগঞ্জ লামাপারাতে পান দোকান নিয়ে বসে থাকত, সে কিভাবে বাগানের তীর খেলার হোতা। নিশ্চই বাগানের কতৃপক্ষরা তাকে এসব কাজে পুরোদমে সাহায্যে করে যাচ্ছে।

দলদলি চা বাগানের তীর খেলা সহ সব ধরণের অকার্জমূলক কাজ বন্দ না হলে বাগানসহ আশেপাশের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাবে। বেড়ে যাবে ছিনতাই, রাহাজানি।

Manual1 Ad Code

প্রশাসনের কাছে বাগান ও আশে পাশের এলাকার লোকেরা দাবি জানান এইসব মানুষদের চিহ্নিত করে অতিশ্রীঘ্রই আইনের আওতায় আনার জন্য।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..