হবিগঞ্জে একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০১৮

হবিগঞ্জে একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

Manual6 Ad Code

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কলেজগুলোতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অমান্য করে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Manual7 Ad Code

এ ফি যোগান দিতে গিয়ে অনেক অভিভাবক ধারদেনা করেছেন। কোন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি ফি ব্যবস্থা করতে না পারায় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়েছে।

Manual6 Ad Code

সূত্র জানায়, উপজেলার তিনটি কলেজে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে গত ২৭ জুন থেকে শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রমের আওতায় ১২ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।

Manual5 Ad Code

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বাহুবল অনার্স কলেজ ও মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে। এতে হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ধার দেনা করে ভতির্র টাকা জোগান দিয়েছেন।

Manual6 Ad Code

সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না বলে মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ থাকার পরও বাহুবল উপজেলার তিনটি কলেজই এ নিদেশর্নাকে উপেক্ষা করে ১ হাজার ৫ শত থেকে ২ হাজার ৮ শত টাকার বেশি ভর্তি ফি আদায় করেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফি আদায় করছে আলিফ সোবহান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। মানবিক বিভাগে ৩ হাজার ৪ শত টাকা এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগে ৩ হাজার ৮ শত টাকা হারে আদায় করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভর্তিকৃত এক শিক্ষার্থী বলেন, এর প্রতিবাদ করলে ভর্তি হতে পারতাম না, ভর্তি হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ভেবে আমার মত সবাই নিরবে ধারদেনা করে ভর্তি যোগান দিয়েছি।

এদিকে, বাহুবল সদরস্থ বাহুবল অনার্স কলেজে মানবিক বিভাগে ২ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগে ২ হাজার ৫৫০ টাকা ফি আদায় করা হয়েছে। এছাড়া মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে মানবিক ও বাণিজ্যিক বিভাগে ২ হাজার ৮৫০ টাকা হারে ফি আদায় করা হয়েছে।

আলিফ সোবহান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুর রহমান অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয় স্বীকার করে বলেন, যেখানে সরকারি কলেজগুলো ২হাজার ৪শত টাকা নিচ্ছে সে তুলনায় আমরা কমই নিচ্ছে। আমাদের কলেজে তো আর সরকারি বরাদ্দ নেই। তাই এই টাকা আমরা উন্নয়ন খাতসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের জন্য নিয়েছি।

বাহুবল সদরস্থ বাহুবল অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রব বলেন, আমাদের কলেজে এমপিভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর চেয়ে তিনগুণ বেশি খন্ডকালীন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের সম্মানী ভাতা ও কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখার স্বার্থে গভর্ণিং বডি’র সিদ্ধান্ত্রক্রমে উল্লেখিত পরিমাণ ফি আদায় করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসীম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করে নাই। নীতিমালার বাহিরে কোন কলেজেরই অতিরিক্ত ফি আদায়ের এখতিয়ার নেই। আমি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..