নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় সিটি করপোরেশন মালিকানাধীন পৌর বিপনী কেন্দ্রের আরেক নাম সন্ধ্যা বাজার। এই ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়া দখল করে দশ বছর আগে তৈরি করা হয় দ্বিতল একটি ভবন। যে ভবনটির পেছনের দিক গিয়ে মিলেছে কাস্টঘরে। সোমবার ওই ভবনে গোপন ‘মিনি পতিতালয়’ সন্ধ্যান পান আরিফ। পরে পুলিশ ডেকে অভিযান চালিয়ে সেখানে ‘ব্যাচেলর হোটেল’ নামের জায়গা থেকে ৬ পতিতা ও হোটেলের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।

তাদেরকে আটকের পর পরই নিজেই অ্যাকশনে নামেন মেয়র আরিফ। নিজ হাতে তিনি অবৈধ এসব স্থাপনা ভাঙ্গা শুরু করেন। পরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সবকটি কক্ষ ভেঙ্গে ফেলেন।

এ ব্যপারে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, পৌরবিপণী মার্কেট এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে দ্বিতীয়তলায় নির্মিত ঘরগুলোও অবৈধ। দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ঘরের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে বলে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন। তাই এখানে যাতে আর কোন অবৈধ কার্যকলাপ চলতে না পারে সেজন্য এসব স্থাপনা সিটি করপোরেশন গুড়িয়ে দেবে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন পৌরবিপণী মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ঘর তৈরি করে ‘ব্যাচেলর হোটেল’ নাম দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন আলা উদ্দিন আলোসহ কয়েক ব্যক্তি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সোমবার দুপুরে পৌরবিপনী মার্কেট পরিদর্শনে যান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তখন ওই মার্কেটের নিচতলার ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবৈধভাবে নির্মিত ‘হোটেল ব্যাচেলরে’ দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন আলা উদ্দিন আলো।

তবে, এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন আলো জানান, ‘ব্যাচেলর হোটেল’র সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সন্ধ্যাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ওই হোটেল পরিচালনা করে বলে দাবি করেন তিনি।