ক্রাইম ডেস্ক : সিলেট সদর শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালের স্টাফনার্স শিউলী সুলতানা। পদ ও পেশায় সেবিকা হলেও পরিচয় দেন গাইনী চিকিৎসকের। এ পরিচয়ে করে থাকেন প্রইভেট প্রাক্টিসও। দীর্ঘদিন ধরে সিলেট সদর হাসপাতালে কর্মরত স্টাফনার্স শিউলী সুলতানা ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সেবিকা সহযোগী । নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গোযাইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজারে ফার্মেসী নামে খোলে বসেছেন চিকিৎসা কেন্দ্র। মহিলাদের এমআর,ডিএনসি থেকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর মত কাজ করে থাকেন সেখানে। এমনকি কল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়ও। একজন জুনিয়র কন্সালট্যান্টের সহযোগিতায় পদ পেশা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন। হাসপাতালে শিউলী সুলতানার এতই প্রভাব যে, তার কোন অবৈধ ও অবৈধ ও বেআইনী কর্মকান্ডের ব্যাপারে কেউ মূখ খোলতে সাহস পান না। এ যেন তিনি হাসপাতালে এক মূর্তিমান আতংক।
অভিযোগে প্রকাশ, ওই হাসপাতালে অপারেশন পূর্ব জরুরী ঔষধ পথ্যাদির স্লিপ দেওয়া হয়। ঔষধ নিয়ে আসার পর শিউলী সুলতানা তা’ লুকিয়ে আবারোও ঔষধ কিনিয়ে আনেন। পরে লুকিয়ে রাখা ঔষধগুলো ফার্মেসীতে বিক্রি করে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একজন সহকর্মী এমন তথ্য দিয়েছেন। স্টাফনার্স শিউলী সুলতানার এতই প্রভাব যে হাসপাতারে নার্সিং সুপার বা ভারপ্রাপ্ত সেবা তত্বাবধায়ক কাউকে কোন বিষয়ে পাত্তাই দেন না । যথেচ্ছভাবে ডিউটিপালন সহ অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে থাকেন তিনি। অভিযোগে আরো প্রকাশ, স্টাফনার্স শিউলীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে একটি ঔষধ চোর সিনিডিকেটের। এ সিনিডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালের ওষধ বাইারে পাচার করে থাকেন। নৈশকালীন ডিউটি ফেলে এবং কাউকে না জানিয়েই তিনি প্রায়সময় অন্যত্র প্রাইভেট অপারেশনে কাজে চলে যান। সিলেট সদর হাসপাতারে স্টাফনার্স শিউলী সুলতানার একটি দালাল ও এজেন্টচক্র সক্রিয় থাকে। বাইর থেকে কোন রোগী আসলে দালালদের মাধ্যমে বুছিঝয়ে অন্যত্র নিয়ে ডেলিভারী, অ্যাভরেশন, ডিএনসি,এমআর সবকিছুই করান তিনি। এতে করে জ্ঞাত্বায় বহির্ভূত কামাই করে থাকে কাড়ি কাড়ি টাকা। বিশেষ করে প্রেম বা বিবাহবহির্ভুত অন্তঃসত্তা নারীদের গর্ভডপাতে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে থাকেন বলে অভিযোগে রয়েছে।
শিউলিী সুলতানার এহেন বলগাহীন চলাফেরা, বেআইনী কর্মকান্ড ও কতর্ব্যে অবহেলার কারনে সিলেট সদর শামসুদ্দীন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্টাফনার্স শিউলী সুলতানা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি এবং সিলেট সদর শামসুদ্দীন হাসপাতালে চাকরি করেন না বলে জানান তিনি। সূত্র – cnnbd24.com
Sharing is caring!