বিশ্বনাথে স্বামীর হাতে দু’সন্তানের জননী খুন

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : বিশ্বনাথে ডেগার দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন স্বামী। নিহতের নাম লুবনা বেগম (২৮)।  বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানাইয়া গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। স্ত্রীকে হত্যার পর ডেগার হাতে নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী হেলাল মিয়া। সে জানাইয়া গ্রামের মৃত হাজী জহুর আলীর পুত্র ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক। অবস্থায় আহত লুবনা বেগমকে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানাইয়া গ্রামের মরহুম জহুর আলীর পুত্র হেলাল মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের ওয়াহিদ আলীর মেয়ে লুবনা বেগম। হেলাল-লুবনার দাম্পত্য জীবনে আল-আমিন নামের ৯ বছরের এক পুত্র সন্তান ও নাজিফা বেগম নামের সাড়ে ৩ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নিজের পৈত্রিক বাড়ির পরিবর্তে কখনও মামার বাড়ি কিংবা কখনও শ্বশুর বাড়ি কিংবা কখনও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন হেলাল মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) হেলাল মিয়া দুপুরে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে আসেন এবং স্ত্রীকে ফোন করে শশুর বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসতে বলেন। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসেন লুবনা। এরপর বিকেল আনুমানিক ৩টায় স্ত্রী, সন্তান, শাশুড়ি ও শালাকে নিয়ে বেড়াতে যান পার্শ্ববর্তি চাচাত ভাই নূর মিয়ার বাড়িতে। সেখানে যাওয়ার পর লুবনার ভাই রাসেলের সাথে নিজের পুত্র আল-আমিনকে সাথে দিয়ে সিগারেট আনার জন্য বাজারে পাঠায় হেলাল। আর অন্যান্য সময়ের মতো স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে চাচাত ভাইয়ের পরিত্যাক্ত ঘরে যান হেলাল। আর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে হাত বেঁধে লুবনার গলা কেটে ডেগার হাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হেলাল মিয়া। এলাকাবাসী ডেগার হাতে হেলালের পালিয়ে যাওয়া দেখে পেছন থেকে ডাকলেও কোন সাড়া দেয়নি সে। দীর্ঘ সময়ে হেলাল-লুবনা চাচাত ভাইয়ের পরিত্যাক্ত ঘর থেকে বসত ঘরে ফিরে না আসায় তাদেরকে ডাকতে যান হেলালের আত্মীয়রা। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান গলা কাটা অবস্থায় লুবনার দেহ পড়ে আছে। আর সেখানে হেলাল নেই। এরপর আত্মীয়-স্বজনরা লুবনাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..