স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করায় পুলিশ ফাঁড়ির ১২ সদস্য প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : খুলনার বটিয়াঘাটায় এক পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। সে ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার ভাইকেও মারধর করা হয়। এরপর গ্রামের লোকেরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করলে ফাঁড়ির ১২ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।

অবশ্য এ ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ফাঁড়ির ১২জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা ছাড়াও ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বটিয়াঘাটার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন বাইনতলা ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

জানা গেছে, ফাঁড়িতে দায়িত্বরতদের মধ্যে একজন কনস্টেবল মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ঐ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিস দেয় এবং কটু মন্তব্য করে।

এরপর ছাত্রীটি তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালে, তার ভাই এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে। পুলিশ তখন তাকে ‘ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে পিটিয়েছে’ বলে জানান তিনি।

এরপর খবর পেয়ে বাজার সংলগ্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত মানুষ এসে ফাঁড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে আমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকসহ ফাঁড়ির ১২ সদস্যের সবাইকে ক্লোজ করা, তদন্ত কমিটি গঠন এবং পিটুনি খাওয়া ভাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেছেন, এ ধরণের অন্যায় কাজে পুলিশের সব সদস্য জড়িত থাকে না।

“তারপরও দুই একজন দুষ্ট সদস্য থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের যে আইনগত ব্যবস্থা আছে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”

তবে একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করে তিনি বলছেন, “এ ধরণের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।

এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সেই সঙ্গে উত্ত্যক্তের শিকার হওয়া মেয়েটি এবং তার পরিবারকে পরবর্তীতে যাতে কোন হয়রানির শিকার না হতে হয়, সে নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..