স্টাফ রিপোর্টার : গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টে তৃপ্তি কনফেকশনারী স্টোরে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট ও আহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন মিলিয়ে মোট ৪৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্ঠির পায়তারা করছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য ঘটনার পরদিন কদমতলীর মৃত মশাহিদ আলীর ছেলে আব্দুল করিম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৬,তারিখ-০৬/০১/২০১৮ ইং। মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা হচ্ছেন, কদমতলীর বড় বাড়ির বাসিন্দা দিপু, সাজু, নাঈম, জায়েদ, মনির, জুনেদ, মুন্না, শিপলু, রাজু, জাহেদ মাহমুদ, ফাহিম, জালাল, শাওন,বাপ্পীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জন। মামলা দায়েরের পর আজ ৫ দিন অতিবাহীত হলে ও এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার বেলা ১২ টা দুপুর পৌনে ২টায় বাদীর মালিকানাধীন কদমতলী পয়েন্টের আল ফেরদৌস শপিং কমপ্লেক্সের তৃপ্তি কনফেকশনারী স্টোরে আসামীরা চাঁদার দাাবিতে হামলা চালিয়ে ৩ জনকে আহত করার পাশাপাশি নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ভাংতি আরো সাড়ে ৪ হাজার টাকা লুট করে। এ ছাড়া সামসং মোবাইল সেট সহ আরো প্রায় ৭০ হাজার টাকার বিভিন্ন কসমেটিক্স ও বিভিন্ন প্রকারের সামগ্রী ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যাংক চেক বই লুটে নেয়। বিবাদীরা এ সময় আতংক সৃষ্টি করলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। হামলায় আহত মাহবুব ও মাহফুজ ওসমানী হাসপাতালের ৪র্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। অপর আহত মাহিন(৫)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন।