আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টানা সংঘর্ষে থমথমে পরিস্থিতি : এমসি কলেজ

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চৌদ্দ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে জনা পঞ্চাশেক শিক্ষার্থীর আনাগোনা। টিলাগড়কেন্দ্রিক ক্ষমতাসীন সরকার দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টানা সংঘর্ষে থমথমে পরিস্থিতি পুরো এলাকায়, আতঙ্কে শিক্ষার্থীশূন্য পুরো ক্যাম্পাস।

ছাত্রলীগের ডাকা ছাত্রধর্মঘটের কারণে ডিগ্রী ইনকোর্স পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা অনিবার্য কারণ দেখিয়ে সকাল দশটায় স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে টিলাগড় পয়েন্টে আজাদ গ্রুপ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাদের অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারান সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগকর্মী তানিম খান বলে অভিযোগ করে আসছেন রণজিৎ সরকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

তানিম হত্যার বিচার চেয়ে আজ সোমবার সকালে এমসি কলেজ ও সরকারী কলেজের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেয় আওয়ামীলীগ নেতা রণজিৎ সরকার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

সকাল সাড়ে দশটায় এমসি কলেজের প্রধান ফটকে বেঞ্চ বসিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। এসময় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি শিক্ষকদের।

সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় আগুন ধরানোসহ এমসি কলেজ মাঠে আজাদ কাপ ক্রিকেট ভেন্যু ভাঙচুরের ঘটনায় ক্যাম্পাসসহ পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

দুপুর একটায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীশূন্য প্রতিটি বিভাগ। দু’একজন শিক্ষক বসে আছেন। ক্যাম্পাস ছেড়ে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিভাগগুলোর কর্মচারীরা। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে অর্ধশতাধিকেরও কম শিক্ষার্থী-দর্শনার্থী ঘুরাফেরা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো রাজনীতি করি না। এমনিতেই কলেজে ক্লাস হয় না, তার উপর ঘন ঘন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ক্যাম্পাসে আসতে মন চায় না, পরীক্ষা থাকায় এসেছিলাম, তাও হলো না।

সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের প্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে ২০১৫ সালে শীর্ষ দশে থাকলেও ২০১৬ সালের সর্বশেষ র‍্যাংকিংয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫তম অবস্থানে নেমে যায়।

অস্থির ছাত্ররাজনীতির নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও মানের অবস্থার আরো অবনতির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..