বিশ্বনাথে উন্নয়ন প্রকল্পে দূর্নীতি : মুখোমুখি অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৩

বিশ্বনাথে উন্নয়ন প্রকল্পে দূর্নীতি : মুখোমুখি অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র

Manual8 Ad Code

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ‘সরকারের বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিক্রি ও চুরি’ করার বিষয় নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ও পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান’। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু’জনই দুজনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। যে কোন সময় ওই দুই শীর্ষ জনপ্রতিনিধি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এছাড়া তাদের বাক-বিতন্ডা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়। এতে করে সর্বোপরী বিনষ্ট হচ্ছে শান্তির জনপদ বিশ্বনাথের মান-সম্মান।

স্থানীয় সূত্রে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কল্যাণে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন যাবৎ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের বরাদ্ধকৃত নানান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বিষেদাগার করে আসছেন পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। এ নিয়ে প্রায় নীরবই ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া। সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ‘টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা আদালতে মামলা করলে ক্ষেপে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে সতর্ক করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

এখানে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মায়ের কসম দিয়ে বলছি, মুহিবুর রহমান সাবধান, এতো দিন আমি শুধু অবজার করেছি ও ধৈর্য্য ধরেছি। তোমার দৌড় কোথায় তা আমি জানি বলে নানা কথা বলেন। মুহিবুর রহমান গম চুরির মামলা জেল খেটেছেন, এটা কেউ ভ‚লে নাই। তিনি আরও বলেন, আর যদি আমার বিশ্বনাথের সাধারণ কোন মানুষকে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। তাহলে আমি তার পাশে থাকবো। সাবধান করে দিচ্ছি। আর বেশী বাড়াবাড়ি করবেন না। আজকের পরে মেয়রের সকল বক্তব্য প্রত্যাহার করার হুশিয়ারি দেন তিনি। আর তা না হলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন নিয়ে তোমার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের সকল অন্যায়ের মোকাবিলা করবো’।

Manual4 Ad Code

এর পূর্বে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান নিজের বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়াকে কে চোর আখ্যায়িত করে তাকে রুখে দেয়ার বার্তা দেন এবং এলাকার মানুষকে তার সাথে থাকার আমন্ত্রণ দেন। এছাড়া তার আগেও মেয়র মুহিবুর রহমান ভুক্তভোগিদের ও মামলার বাদিকে সাথে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন।

Manual6 Ad Code

এতে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে এসে নির্বাচন করেন, তাদেরকেও মানুষ সহজে গ্রহন করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। প্রবাস থেকে যারা এসে জনপ্রতিনিধি হন। তাদের একটা গুনাবলি থাকে যে, প্রবাসীরা ঘুষ-দূর্নীতির উর্দ্ধে থাকে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম শুধু বিশ্বনাথের নুনু মিয়া। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এতো দূর্নীতির কথা উঠলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নুনুর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মেয়র মুহিব বলেন, এতোসব অন্যায় ও দূর্নীতির প্রমাণ আমার কাছে আছে, আর আমি তা উপর মহলে পাঠিয়েছি। কিন্তু মেয়র হিসেবে জনগণকে সচেতন করা ছাড়া আমার কিছু করার নাই। তাই আমি এইসব অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে অবহিত করেই যাচ্ছি। আর সেটা নির্ভয়ে করে যেতে চাই। কারণ আর যাতে বিশ্বনাথের জনগন প্রতারিত না হন।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..