সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গত কয়েকদিন থেকে বিয়ানীবাজারের সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে ইংরেজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (আইএলটিএস) মাস্টার মাইন্ড। পৌর শহরের ইনার কলেজ রোডে এই প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ যাত্রী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শেখায়। প্রায় ৫-৬ বছর থেকে মাস্টার মাইন্ড নামীয় প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েকদিন থেকে বেশ ক’জন তরুণ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ইংরেজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাস্টার মাইন্ড কম্পাউন্ডের ভেতরকার শৌচাগারে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক জামিল আহমদ। এই শৌচাগারটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করে থাকেন। ব্যবস্থাপক জামিলের মোবাইল ফোন থেকে শৌচাগারে ধারণ করা একাধিক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন সংবাদ ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে জামিলকে অব্যাহতি দেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আতিকুর রহমান। এরপর থেকে আরও বেশি সমালোচনা সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে।
ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, জামিল-আতিক সমন্বয় ছাড়া এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঘটে কীভাবে? তারা প্রশ্ন করেন, আইএলটিএস পরীক্ষায় জামিল ভালো মার্কস পাইয়ে দিবে বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি আতিকুরকে জানালেও তিনি নীরব থাকতেন কেন?
সূত্র জানায়, মাস্টার মাইন্ডের সর্বশেষ ঘটনার আগেও অনেক আপত্তিকর ঘটনায় আতিক নিজেই জড়িত ছিলেন। যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ব্যবস্থাপক জামিল। এ কারণে জামিলের অনেক আপত্তিকর কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যেতেন আতিক। মাস্টার মাইন্ডের পরিচালক আতিকুর জানান, কিছু আপত্তিকর ছবি পাওয়ার পর ব্যবস্থাপক জামিলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবে ছবিগুলো গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা কিনা, তা তিনি বলতে পারেননি। মাস্টার মাইন্ডের শৌচাগারে ক্যামেরা লাগানোর তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd