গেয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গেয়াইনঘাটে আকষ্মিক ভারতীয় ঢলে সৃষ্ট বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। স্থানীয় রুপ নিচ্ছে বন্যা।ব্রীজ নির্মানে ধীরগতি থাকায় উপজেলার সাথে ৭ টি ইউপির সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধীক মানুষ। হাওরাঞ্চলে কয়ক হাজার মানুষ পানবন্দীও রয়েছেন।
গত ১৩ জুন থেকে ভারতীয় ঢলে সৃষ্ট বন্যা যেন তীলে তীলে গ্রাস করছে গোয়াইনঘাট। ভারী বর্ষনে বাড়ছে পানি। আতংকিত রয়েছেন এলাকাবাসি। অসময়ের অপরিকল্পিত উন্নয়নে ব্রীজ নির্মানে ধীরগতি থকায় উপজেলার উনাই হাওর, বঙ্গবীর ট্রানিং ও তোয়াকুল, তোয়াকুল, নন্দিরগাঁ, রুস্তমপুর, পশ্চিম জাফলং, সদর, পূর্ব ও মধ্যজাফলং ইউপির উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গোয়াইনঘাট রাধানগর রাস্তা রয়েছে অনেকাংশে নিমজ্জিত। বিভিন্ন ইউপির হাওরাঞ্চলের অর্ধ লক্ষ মানুষ রয়েছেন পানি বন্দী। উনাই হাওরে বাইপাশ সড়ক নিমজ্জিত থাকায় উত্তর গোয়াইনঘাটবাসী জনসাধারণের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
ওই এলকার বাজারগুলোতে নিত্য পণ্যে সরবরাহ হচ্ছে বিঘ্নিত। গোয়াইনঘাটে দিনেও বিরাজ করছে সন্ধ্যার ঘোর অন্ধকার। দিন মজুর শ্রমীকরা বেকার থাকায় মানবেতর দিন কাঠছে। তলিয়ে গেছে গো- চারণভূমি। রাতে পানি বৃদ্ধিপেলে বড়ধরনের বিপদের শঙ্কায় রয়েছেন জনসাধারণ।
উপজেলার ত্রান ও দূর্যেগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) শীরষেন্দু পুরকায়স্হ বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে, ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিপুলসংখ্যক উদ্ধারকারী দল রয়েছে।আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। সকল জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দেয়া হয়েছো। এখনও সেই পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। গোয়াইনঘাটে গেল বছরের ভয়াবহ বন্যার আতংকে এবারও শম্কিত রয়েছেন জনসাধারণ।
Sharing is caring!