সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৩
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশপাইকা আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা ধ্বংস করতে নানামূখি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দ্বীনি এ শিক্ষা প্রতিষ্টনের বিরুদ্ধে কতিপয় লোক উঠে পড়ে লেগেছে। বিভিন্ন সময় তিলকে তাল করে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
মাদ্রাসাটির দীর্ঘদিন ধরে এডহক কমিটি থাকায় বোর্ডের নির্দেশে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়েও এখন বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অধ্যক্ষকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলে বিধি মোতাবেক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য জেলা প্রশাসনে আবেদন করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রিজাইটিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। প্রিজাইটিং কর্মকর্তা গত (২৭ মার্চ) মাদ্রাসা কমিটি গঠনের তফসিল ঘোষনা করেন।
তফসিল মতে দুই এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বিতরন এবং জমাদান, ৬ এপ্রিল বাচাই, ১০ এপ্রিল প্রত্যাহার এবং ২৭ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়।
কিন্তু এ নির্বাচন স্থগিত করার জন্য আনরপুর গ্রামের আয়না মিয়া, দশপাইকা গ্রামের বকুল খান, গয়াছ আলী, ইসমাইল খান, কবির আহমদ নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন। তারা (৩০ মার্চ) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদনে জানান, প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও এলাকার শান্তি প্রিয় লোকজন এ বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য উপাথ্য জানা নেই। কিন্তু ৩০ মার্চ আবেদন করলেও ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা তা না করে নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছেন।
এলাকার লোকজন জানান, এসব ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব স্বার্থ আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার বিরোধীতা করে আসছেন। এদের মধ্যে কবির আহমদ ও ইসমাইল খান মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নয়। বিধি মতে অভিভাবক না হলে ভোটার হওয়া যায় না এবং ভোটার না হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। তবুও কবির আহমদ ও ইসমাইল খান আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে কবির আহমদ বলেন, আমি অভিভাবক না হলেও এলাকার হিসেবে সই করেছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মখলিসুর রহমান জানান, মাদরাসা বোর্ডের নির্দেশ পেয়ে বিধি মোতাবেক নোটিশ দিয়ে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসনে আবেদন করলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকার সকলেই এ বিষয়ে অবহিত রয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, বিধি মোতাকেব এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। কোন মতেই নির্বাচন স্থগিত বা তফসিল পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কেউ কেউ বুঝে, না বুঝে আমার উপর অযতা চাপ সৃষ্টি করছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd