হকার্স উচ্ছেদ না হওয়ার মূল কারণই সিসিক মেয়রের রাজনীতি

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৩

হকার্স উচ্ছেদ না হওয়ার মূল কারণই সিসিক মেয়রের রাজনীতি

Manual4 Ad Code

দুই বছর আগে ব্যাপক আয়োজন আর ঢাকঢোল পিটিয়ে সিলেট নগরীতে হকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। ২০২০ সালের শেষের দিকে নগর ভবনের পেছনের লালদিঘিরপাড় মাঠে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কিছু দিনের মাথায় সেই হকাররা আবারও ফুটপাতে। ফলে সিসিকের হকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে ‘যেই লাউ সেই কদু’ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন সচেতন মহলের অনেকেই।

Manual6 Ad Code

হকার্স উচ্ছেদ না হওয়ার মূল কারণই হলো সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর রাজনীতি। বিএনপির যেকোন মিছিল মিটিং হলেই দেখা যায় মেয়রের ব্যানারে শত শত হকার। এদের দিয়েই মিছিল করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। হকারের মধ্যে কয়েকটি ভাগ রয়েছে এর মধ্যে বিএনপিপন্থীরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুটপাতে। এদের কথামতো কোন হকার মিছিলে না গেলেই এর গাড়ী-দোকান নেওয়া হয় সিটি কর্পোরেশনে। পরে বিএনপিপন্থী হকার্স নেতাদের সাথে লেয়াজু ছাড়িয়ে আনতে হয়। এভাবেই চলছে মেয়র আরিফে রাজনীতি।

সিলেট মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ ও হকার্সদলের সভাপতি নুর ইসলাম সর্বদাই মেয়রের পাশে থাকেন। তাদের লোক নিয়োজিত রয়েছে নগরীর ফুটপাতের প্রতিটি লাইনে।

Manual3 Ad Code

সরেজমিনে লালদিঘিরপাড়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সহস্রাধিক হকারকে পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দকৃত মাঠে হাতেগোনা কয়েকজন হকার এক সময় থাকলেও এখন আর নেই। আর বাকি হকাররা আগের মতোই নগরের বিভিন্ন রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। হকারদের পুনর্বাসনের মাঠের সামনের দিকের হাতেগোনা কিছু দোকান ছাড়া পেছনের পুরো মাঠই ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কগুলোও তাদের দখলে। যার ফলে নগরে দিন দিন বাড়ছে যানজট। হকারদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি প্রয়োগ করলেও এখন আর নেই। যার কারণ সামনে নির্বাচন। পুলিশ মাঝে-মধ্যে আইওয়াস অভিযান দিলেও এখন আর তা দেখা যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বার বার মেয়র হকারদের বিরুদ্ধে আইওয়াস অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ হল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। তিনি নিজের দলের ফায়দা হাসিল করতে জলে দিয়েছেন সিসিকের অর্ধকোটি টাকা।

Manual3 Ad Code

এসএমপির কোতোয়ালি থানা ও বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট লোকজনের মাধ্যমে হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে। আর সেই লাইম্যানরাই হকারদের সেল্টার দিয়ে ফুটপাতে বসায়। এতে মোটা অংকের টাকা ঢুকে ওই অসাধু কর্মকর্তার পকেটে।

Manual2 Ad Code

প্রতিদিনই প্রকাশ্যে হকারের লোকজনের কাছ চাঁদা আদায় করেন সুমন, আলম, গেদু, একরামসহ একদল চিহৃত চাঁদাবাজ। এদের বিরুদ্ধে মিডিতে একাধিন সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

যার ফলে প্রতিদিন নগরীর হকার থেকে অর্ধলক্ষ টাকারও বেশী চাঁদা আদায় করা হয়। তার একটি অংশ যায় পুলিশের পকেটে আর বাকী অংশ তারা পায়। এদের সকলকে নিয়ন্ত্রণ করেন হানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ ও হকার্সদলের সভাপতি নুর ইসলাম।

এ ব্যাপারে লাগামহীন চাঁদা আদায় করে তারা হকারদের সুযোগ করে দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও সিটিকর্পোরেশনের সামনেই চলে হকার বসা আর চাঁদা আদায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2023
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..