বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ৮ বছর ধর্ষণ, শেষে কৌশলে গর্ভপাত!

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২২

বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ৮ বছর ধর্ষণ, শেষে কৌশলে গর্ভপাত!

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে আট বছরের অনৈতিক সম্পর্ক। তারই জেরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। অবশেষে কৌশলে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ব্যবসায়ী আলম মোল্লা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মোটা টাকা ও বিয়ের প্রলোভনে গর্ভপাত ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।

এদিকে এ ধরনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি বলছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পাঁয়তারা করছে একটি মহল।

Manual3 Ad Code

অভিযুক্ত আলম মোল্লা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে ও পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তের আড়ৎদার।

মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ব্যবসায়ী আলম মোল্লা মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন ও বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ওই গৃহবধূকে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বলেন। ব্যবসায়ীর প্রলোভনে রাজি হয়ে বাচ্চা নষ্ট করেন ওই নারী। এরপর থেকে আলম মোল্লা তাকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিসহ হুমকি দিয়ে আসছেন। যার ফোনকলের রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরকীয়ার সম্পর্ক ও অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন আলম মোল্লা। ওই নারীর স্বামী পেশায় জেলে শ্রমিক হওয়ায় মাছ শিকারের জন্য সাগরে বেশি থাকতেন। এ সুযোগে প্রায়ই তার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন আলম। পাথরঘাটা পৌরশহরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ব্যবসায়ীর বার বার আসা-যাওয়া নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে গুঞ্জন রটে। এরপর আলম মোল্লা তাকে পাথরঘাটা হাসপাতাল সড়কের নতুন একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দেন। সেখানেও নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন বলে জানান ওই ভাড়াটিয়া ঘরের মালিক আনু মোল্লা।

ভিকটিম আরো জানান, গত ৫ মাস আগে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি আলম মোল্লাকে জানান। সে থেকেই তিনি আমাকে বিয়ে করবেন বলে আগে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। এজন্য আমাকে তার কর্মচারি দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বলেন। আমি না গেলে আমাকে তিনি সন্তান নষ্ট করার জন্য ওষুধ দিয়ে যান। সন্তান নষ্ট করার পরে বিয়ের কথা বললে তিনি আমাকে এড়িয়ে যান।
তার আচরণ সন্দেহজনক হলে মোবাইল ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে আলম মোল্লা কল রেকর্ডর বিষয়ে জানতে পেরে তার বোনের মেয়ে খোদেজা নামের এক নারীকে দিয়ে গৃহবধূকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দেন বলে জানা গেছে।

Manual5 Ad Code

অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী আলম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটা হলো আমার প্রতি প্রতিহিংসা, আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য কিছু লোক এগুলো করছে। তবে ফোন রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা ভিত্তিহীন, এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

Manual7 Ad Code

পাাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল বাশার জানান, এ রকম বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি বা লিখিত অভিযোগও করেনি। আভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা আস্বীকার করেন।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2022
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..