সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন অমান্য করে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অধিক মুনাফার লোভে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিরা। করোনার ভয়বহ পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। প্রয়োজনে দেশে কারফিউ জারি করতে সরকারকে জোর সুপারিশ করছে নীতি নির্ধারকরা। দোয়ারাবাজার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রাতের আঁধারে অবৈধ পন্থায় আসছে ভারতীয় চোরাই গরু। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে রাতের আঁধারে এগুলো চলে যায় ছাতক, সুসামগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জবাইখানা ও ব্যবসায়ীদের হাতে।
এদিকে দোয়ারাবাজারে বিভিন্ন এলাকায় বসেছে জমজমাট পশুর হাট। নব্বই ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। ইজারাদের পক্ষ থেকে হাত ধোঁয়ার সাবান বা স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। এসব পশুর হাটে নেই কোনো সামাজিক দুরুত্ব। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে উপজেলার বাংলাবাজার, বগুলাবাজার, নাছিমপুর, বালিউরা ও নরসিংপুর বাজারসহ বিভিন্ন মাঠে পশুর হাট বসলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন? এতে সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বেড়েই চলছে। শনিবার (১০ জুলাই) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নাছিমপুর বাজারে হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা বলেন, প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে মুখে মাস্ক রাখা যাচ্ছে না। মাস্ক পড়ে কথা বলতেও সমস্যা হয়। গরুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা খুবই দুষ্কর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে দেশের সর্বত্র বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে পশুর হাট।উপজেলার পশুরহাটের সকল ইজারাদারকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের তৎপারতা অব্যাহত রয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ইজারাদারসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সুপারিশে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সীমিত হারে পশুর হাট চালুর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd