জুড়ীতে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২১

জুড়ীতে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ডিউটি ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় রাইসা নামে সাড়ে ৩ মাস বয়সের এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি সোমবার রাত ৮টায় জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সামনে শিশুর আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।

এদিকে অভিযুক্ত নার্সকে রাতেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এবং ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ।

নিহত শিশুর পিতা উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বাছিরপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন- তার সাড়ে তিন মাস বয়সের মেয়ে রাইসার নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার শিকার হয় শিশুটি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে বার বার নার্স ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও তারা কেউ সাড়া দেননি। এতে করে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়। এক পর্যায়ে রাত আটটায় হাসপাতালেই শিশুটি মারা যায়।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, ডাক্তার অনিক এর পরামর্শে আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সারাদিনে একজন ডাক্তারও আমার মেয়েকে দেখতে আসেন নি। সন্ধ্যার পর আমার মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। রাত আটটায় হাসপাতালেই আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

শিশু মারা যাওয়ার খবরে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জুড়ী থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

সেই সাথে ডা. শহিদুল আমিন, ডা. ইমামুল মুন্তাসির ও ডা. নাজমাকে দিয়ে ৩ সদস্যের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

Manual1 Ad Code

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নার্স দীপা রেবা বলেন, শিশুটির অভিভাবক আমাকে যতবার ডেকেছে আমি ততোবারই শিশুটিকে দেখেছি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে আমি বারবার অনিক স্যারকে মোবাইলে ফোন দেই, তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি। অনেকক্ষণ পর তিনি নিজেই আমাকে ফোন দেন এবং হাসপাতালে আসেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার প্রিয়জ্যোতি ঘোষ অনিক বলেন, আমি নিয়মিত রোগীকে দেখাশোনা করেছি। রোগীর অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে দ্রুত রোগীকে দেখতে যাই এবং জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দেই। এর কিছু সময়ের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়।

Manual1 Ad Code

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে উপস্থিত হই। এলাকাবাসী এবং শিশুর পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক সরিয়ে নেই এবং তদন্ত কমিটি করে দেই।

Manual1 Ad Code

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, শিশুর মৃত্যুতে হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..