সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্য ও সিলেটের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক সবুজ সিলেটের ফটো সাংবাদিক মো. করিম মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী ডালিম উদ্দিন অবশেষে শ্রীঘরে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সিলেট মেট্রোপলিটন ৩য় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ডালিমের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিক করিম মিয়া তার উপর হামলার ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১১৪৫(২)/৫। মামলায় ৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আসামীরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি (সুনামপুর) গ্রামের মৃত জয়নুল মিয়ার ছেলে ডালিম উদ্দিন (৩৪), গিয়াস উদ্দিন (৪৫), আলম উদ্দিন (৪০) ও মেয়ে সায়লা বেগম (৩৮)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামীরা ফটো সাংবাদিক মো. করিম মিয়ার বসতঘর ও পৈত্রিক ভূমি জোরপূর্বক দখল করার জন্য দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর এলোপাতারি হামলা চালায় এজাহার নামীয় আসামীরা। নিজেকে বাঁচাতে করিম তাদের প্রতিহত করলে এসময় আসামীদের বেধড়ক হামলায় তার হাতের আঙুল ও হাতের তালুতে কেটে যায়। আসামীরা দা’র হাতা দিয়ে তার ডান পায়ের কবজ্বি ভেঙ্গে দেয়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় করিমকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ৪নং আসামী সায়লা বেগম করিমের মায়ের চুল ধরে টানাহেচড়া করে। এসময় তার অসুস্থ পিতা মো. শাহাব উদ্দিন এগিয়ে আসলে তাকেও গালিগালাজ করে। হামলার সময় আসামীরা করিমের সাথে থাকা একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, ক্যামেরার ল্যান্স ও মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় করিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে হাসপাতালের ৩য় তলার ১১নং ওয়ার্ডের ৩নং বেডে চিকিৎসাধীন।
এজাহার সূত্রে আরো জানা গেছে, ২নং আসামী গিয়াস উদ্দিন লন্ডনে একটি ধর্ষণ মামলায় ৭ বছর কারাভোগের পর ব্রিটিশ সরকার তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও গিয়াস উদ্দিনের (৪৫) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারী রয়েছে।
১নং আসামী ডালিম উদ্দিন মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় বেশ কয়েকটি চুরি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd