কুলাউড়া ইউএনও অফিসের রুনার কাণ্ড!

প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২০

কুলাউড়া ইউএনও অফিসের রুনার কাণ্ড!

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রুনা বেগম কুলাউড়া ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক। তার বিরুদ্ধে সরকারি ঘরের তালিকায় নাম সংযুক্ত করে দেয়ার জন্য হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Manual4 Ad Code

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ১০ থেকে ১২ জন নারী ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীকে সরাসরি বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক কয়েকজনের টাকা ফেরৎ দেন রুনা। এই রুনা বেগমের আরও নানা অপকর্মের গুঞ্জন রয়েছে মানুষের মাঝে।

অভিযোগ রয়েছে, পার্শবর্তী উপজেলা শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা রুনা বেগম ২০১৩ সালে কুলাউড়ায় যোগদানের পরপরই নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। নিজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেক সময় কোন পাত্তাই দেন না। সরকারের উপর মহলে তার নিজস্ব লোক আছে, এমনটি প্রচার করে অফিসে নিজের মনমর্জি আসা-যাওয়া এবং চলাফেরা করেন। তার দম্ভোক্তিমূলক কথার স্রোতে অনেকেই তার সাথে তর্কে জড়ানোর সাহস করেন না।

Manual5 Ad Code

উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকার বাসিন্দা হোছনারা বেগম জানান, তিনি বিভিন্ন কাজে উপজেলা পরিষদে আসা-যাওয়া করেন। এরপর পরিচয় হয় ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রুনা বেগমের সাথে। এই সুবাদে রুনা বেগম তাকে বলেন, এলাকায় হতদরিদ্র নারী থাকলে তাদের নাম তিনি সরকারি ঘরের তালিকায় তুলে দিতে পারবেন। বিনিময়ে তাকে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

Manual2 Ad Code

এই কথা শুনে হোছনারা বেগম সাদিপুর ও মীরশংকর এলাকার ২০ জন হতদরিদ্র নারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং জনপ্রতি ১ হাজার করে ২০ টাকা রুনা বেগমের হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে রুনা বেগম যাতায়াত খরচের জন্য হোছনারাকে কিছু টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেয়ার ৩ মাস পর থেকে রুনা বেগম তাকে কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না।

Manual2 Ad Code

অফিসে গেলেই এই সপ্তাহে হবে, আগামী সপ্তাহে হবে বলে ফিরিয়ে দেন। এলাকার মহিলাদের বকাঝকা সইতে না পেরে হোছনারা নিরুপায় হয়ে ইউএনও’র শরণাপন্ন হন।

একই ইউনিয়নের মীরশংকর এলাকার বাসিন্দা রুবেনা বেগম, আছলিমা বেগম, আমেনা বেগম, রেনু বেগমসহ উপস্থিত ১০-১২ জন নারী জানান, তারা সকলেই পৃথকভাবে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে রুনা বেগমের কাছে দিয়েছেন। তিনি (রুনা) বলেছেন সরকারি ঘরের তালিকায় তাদের নাম দেবেন। তারা সকলেই পাকা ঘর পাবে। কিন্তু এখন রুনা বেগম টালবাহানা শুরু করায় তারা ইউএনও’র কাছে বিষয়টি জানাতে এসেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে তারা লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রুনা বেগম ২০ হাজার টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯শ’ টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু স্যারের কাছে বিচার দেয়ায় সেই টাকাগুলো ফেরৎ দিয়েছি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কয়েকজন নারী এসে বিষয়টি বলার পর রুনা বেগমকে তাৎক্ষণিক টাকা ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..