সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০
স্টাফ রিপোর্ট :: সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে অন্ধকারে ঠিক কতদিন থাকবে তা বলতে পারছেন কেউ। কুমারগাঁওয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী (পিজিসিবি)-এর নিয়ন্ত্রনাধিন গ্রিড লাইনে আগুনের জন্য বিদ্যুৎ অন্ধকারে পুরো সিলেট। অন্ধকার কাটাতে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন মোমবাতি ক্রয় করতে। কিন্তু মোমবাতিরও দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। কোথাও কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
টিলাগড়ের ব্যবসায়ী ফনা তালুকদার জানান, দুদিন আগেই দীপাবলীতে প্রায় সব মোমবাতি বিক্রি করে ফেলেছেন। এখন বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারা মোমবাতি কিনতে আসছেন।
সিলেট শহর ঘুরে দেখা যায়, পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানে মোমবাতি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি নিতে চাইছেন, কিন্তু বাজারে পর্যপ্ত মজুদ নাই অজুহাতে দাম বেশি রাখছেন কেউ কেউ।
সরজমিনে দেখা যায়, বন্দরবাজার-শেখঘাট এলাকায় ৫ টাকার মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা। ১০টাকার মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। অর্থাৎ দিগুন তিনগুন করে বিক্রি করা হচ্ছে মোমবাতি। তবুও কেউ কেউ অভিযোগ করছেন অনেক দোকানে মোমবাতি পাওয়া যায় না। মানুষজন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মোমবাতি ক্রয় করে না। তাই অনেক ব্যবসায়ীরা মোমবাতি দোকানে রাখেন না, রাখলেও খুব কম। কিন্তু আজকে সিলেটে বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লেগে অনিশ্চিত হয়ে গেছে বিদ্যুৎ আসার ক্ষণ। তাই অন্ধকার ও ঘরের কার্য সম্পন্ন করতে আলো দরকার। আলোর বিকল্প হিসেবে রয়েছে মোমবাতি, চার্জে লাইট। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জের লাইটের চাহিদা নাই বললেই চলে। তাই হুমড়ি খেয়ে মানুষজন ভিড় করছেন মোমবাতি ক্রয় করতে। চড়া দাম হলেও প্রয়োজনে ক্রয় করতে হচ্ছে বলে জানান শেখঘাটের একজন ক্রেতা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাওয়ে অবস্থিত জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি ট্রান্সমিটারে আগুন লেগে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ৫টি ইউনিট প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এই ভয়াবহ আগুন লাগায় সিলেটে সকাল ১১ টা থেকে গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। আগুনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি নগরবাসীকে জানাতে দুপুর ২ টা থেকে নগরীতে মাইকিং করানো হচ্ছে। কিন্তু কখন আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে সেটা জানানো হচ্ছে না।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখন পর্যন্ত পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎহীন আছে। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের সব গ্রাহকরাই বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎহীনতার কারণটি জনগনকে জানাতে মাইকিং করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd