সর্ব মহলে প্রশংসিত, চৌকস এসপি ফরিদ উদ্দিন

প্রকাশিত: ১:১৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

সর্ব মহলে প্রশংসিত, চৌকস এসপি ফরিদ উদ্দিন

Manual2 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশে যখন প্রাণঘাতী করােনাভাইরাসের মহামারি দেখা দেয় ঠিক তখনই একটি নাম ছড়িয়ে যায় সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে। ফেসবুক, ইউটিউব বা টুইটার যেখানেই চােখ পড়ে এই নামের পেছনে শুধু প্রশংসা আর প্রশংসা।কেউ বলেন মানবতার ফেরিওয়ালা, কেউ বলেন অসহায় মানুষের আস্তাস্থল আবার কেউ বলেন, অপরাধীদের মুর্তিমান আতঙ্ক। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন মােহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম; যিনি সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। ঢাকা মেট্রােপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে সিলেট জেলায় যােগদানের পর থেকে সকল মহলই তার কার্যক্রমে সন্তােষ্টি প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ আলােচিত রায়হান হত্যা মামলার আসামী এসআই আকবরকে গ্রেফতারের মাধ্যেম তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন একজন চৌকস অফিসার হিসেবে।

Manual1 Ad Code

সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২৪ জুন তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে যােগদান করেন। এর পরই তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘােষণা করেন। তার পরিকল্পিত নির্দেশনায় অধিনস্থ থানাগুলাে মাদকের বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও উদ্ধারের খবর আসে। এমনকি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধেও তার সাহসী ভুমিকা রয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হন তিনি। এরইমধ্যে চলতি বছরের মার্চে করােনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে প্রতিটি থানায় তিনি সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজে গিয়ে অসহায় দুখি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যাপক আলােচনায় আসেন। তখনই সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে মানবতার ফেরিওয়ালার উপাধি ছড়িয় যায়। তবে সাম্প্রতিককালে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা ও পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারে আবারও আলােচনায় আসেন মােহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।

Manual8 Ad Code

পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, তিনি যােগদানের পর থেকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছেন জেলা পুলিশকে। অনেকটা সুসংগঠিত করে দক্ষতা ও দ্রুততম সার্ভিসের মাধ্যমে থানাগুলাের কার্যক্রম শুরু করেন। এজন্য ভালাে কর্মের জন্য অধিনস্থ অফিসারদের প্রতি মাসে পুরস্কৃতও করে আসছেন। মাদক, ধর্ষণ, হত্যাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলাে কম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের কথা শােনে সাধারণ মানুষও অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে দু’টি কাজ করেছেন তারমধ্যে অন্যতম এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ধর্ষণ মামলার ৬ আসামীর মধ্যে দুইজন ও রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দ্বারা এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনার পরই তারা নগর থেকে পালিয়ে গেলেও তৎপর হয়ে ওঠে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের পরিকল্পনায় থানার ওসি ও ডিবি পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেন। এরইমধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মদনহাটা নামক এলাকা থেকে অর্জুন লস্কর নামের ধর্ষককে করে সিলেট জেলা ডিবি পুলিশ।

Manual6 Ad Code

এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে কানাইঘাট থানা ও জেলা গােয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে। এদিকে এমসি কলেজের এ ধর্ষণের ঘটনা কাটতে না কাটতেই এসএমপির বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যার ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর মুল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হােসেন ভুঁইয়া পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সকল সংস্থা মাঠে থাকলেও সফলতা অর্জন করে জেলা পুলিশ। বিভিন্ন গােয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর আবারাে নতুন করে উচ্ছারিত হতে থাকে পুলিশ সুপার মােহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র সফলতার কথা। উল্লেখিত দু’টি ঘটনার পর পুলিশ যখন ইমেজ সংকটে ছিল ঠিক তখনই তার নেতৃত্বে ভাবমুর্তি আবারও উজ্জ্বল হয়ে উঠে পুলিশের।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..