সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২০
ইকবাল আহমদ :: মিথ্যা তথ্য প্রদান, দ্বৈত ভোটার নিবন্ধন ও একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ’ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাদমান সাকিব বিভিন্ন সময়ে লাইভ টিভিতে বক্তব্য দিয়ে, পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে এবং লিফলেট বিতরনের মাদ্যমে এ বিষয়ে সঠিক পন্থা অবলম্বন এবং এর ব্যত্তয় ঘটলে কি শাস্তি তা বলে এসেছেন। কিন্তু তবুও মানুষ সাবধান না হওয়ায় সম্প্রতি কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে প্রকাশিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ধারা ১৪(ক) অনুযায়ী- “কোন নাগরিক মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গােপন করিলে এক বৎসর কারাদণ্ড , বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।
ধারা ১৫ অনুযায়ী “ একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিলে এক বৎসর কারাদণ্ড , বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড , বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।
ধারা ১৬ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা / কর্মচারী তথ্য – উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করিলে অনূর্ধ্ব সাত বৎসর কারাদণ্ড , বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড , বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।
ধারা ১৭ অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা / কর্মচারী দায়িত্বে অবহেলা করিলে অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড , বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড , বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ধারা ১৮(ক) অনুযায়ী কেউ জাল আইডি ব্যবহার করতে ধরা পড়লে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
ভােটার তালিকা আইন , ২০০৯ এর ধারা ১৮ অনুযায়ী হালনাগাদকরণ সম্পর্কে এমন কোন লিখিত বর্ণনা বা ঘােষনা প্রদান যা মিথ্যা তাহলে ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।
নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে শুরু থেকেই জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে, উপরোক্ত আইন অমান্যের দায়ে একজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরেকজন নিজ আইডি থাকা সত্ত্বেও, মায়ের নাম বদল করে এক মুকিজোদ্ধার স্ত্রীর নাম দিয়ে কম্পিউটার দোকান থেকে কার্ড বানিয়ে পেনশন ভোগ করছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ধারা ১৮(খ) অনুযায়ী, ওই সকল প্রতিষ্ঠান মালিক সর্বোচ্চ ৭ বছর ও ২০ হাজার টাকা দন্ডে দন্ডিত হবেন।
আরো দু’জন দৈত ভোটারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং সাক্ষী-প্রমাণসহ একটি কম্পিউটার দোকানের বিরোদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র। সঠিক তথ্য প্রদান এবং মিথ্যা তথ্য থেকে বিরত থেকে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলাবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান শাকীব।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd