সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে রাজাকারপূত্র সাইফুল আলম রুহেলের নাম দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজারো লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা অতিক্রম আজ এ পর্যন্ত এসেছে। সেই দলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি রাজাকার-আলবদরদের উত্তরসূরিরা কোনভাবে স্থান পেতে পারে না বলে দাবি নেতাকর্মীদের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, আওয়ামী লীগে কোন রাজাকার, আলবদরের পরিবার-পরিজন স্থান পাবে না। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতির এরকম স্পষ্ট বক্তব্যের পর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে কিভাবে একজন রাজকারপুত্রের নাম দেওয়া হয়। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় রাজাকার হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত তজমুল মেম্বার এর পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আলম রুহেল।
দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে দেশে এসে কোন অদৃশ্য শক্তির কারসাজিতে হঠাৎ করে যিনি ২০১১ সালে গঠিত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক পদে মনোনীত হন।
বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতেও তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক-২ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে তিনি সন্তুষ্ট নন। সাইফুল আলম রুহেল সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাধীন ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের মোগলপুর গ্রামের তজমুল মেম্বারের পুত্র সাইফুল আলম রুহেল।
তার পিতা তজমুল মেম্বার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ব্যাপক কার্যক্রম চালান। তৎকালীন সময়ে তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন ভিটে মাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। তার কার্যকলাপে দল মত নির্বিশেষে এলাকার লোকজন এতটাই ক্ষিপ্ত ছিলেন যে, স্বাধীনতার পর তজমুল মেম্বার এক মূহুর্ত্যের জন্যও নিজ এলাকায় যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন তজমুল মেম্বার প্রথম ফেঞ্চুগঞ্জে তার বাড়িতে যান।
কুখ্যাত রাজাকার পুত্র সাইফুল আলম রুহেল সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তখন ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। তৎকালীন সময়ে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাকে মেনে নিতে পারেননি। তাদের প্রত্যাশা ছিল বর্তমান প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে তাকে বাদ দেয়া হবে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সিলেট জেলার প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক-২ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযান বিবেচনায় রেখে সাইফুল আলম রুহেলকে বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটি থেকে বাদ দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd