সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে চলন্ত নৌযানে অবৈধ চাঁদা আদায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজরা। ফলে পাথর ব্যবসায়ী ও নৌযান শ্রমিকরা রয়েছেন আতংকে।
জানা যায়, এ চক্রটি চাঁদা আদায় ছাড়াও নানা সময় শ্রমিকদের মারধর করে লুটপাট করে নৌকায় থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তীরে ভিড়ানো নৌকা ও নদীতে থাকা নৌকা হতে নানা সময় চুরি ডাকাতি লেগেই আছে। অভিযোগ উঠেছে নদীতে নৌ-পুলিশের যোগসাজেসে চলছে এসব চাঁদাবাজি, চুরি ও ডাকাতির ঘটনা।
পাথর ব্যবসায়ী ও নৌ-শ্রমিকরা জানান, আসল চাঁদাবাজদের ধরা ছোয়ার বাহিরে রেখে শুধু লোক দেখানো ২-৪জন নৌ-শ্রমিকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, উপজেরার চরেরবন্দ মহল্লার রশিদ আলীর ছেলে জলাল উদ্দীন ও তার সহোদ মাদক ব্যবাসায়ী রহিম উদ্দিন, গণেশপুর গ্রামের মৃত. ইলিয়াছ আলীর ছেলে মকবুল মিয়া, মন্ডরীভোগ গ্রামের পিতা. অজ্ঞাত কাজল, সিলেটের কেম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, তেলিখাল গ্রামের সামছুল হক সহ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র নদীতে চাঁদাবাজী করলেও পুলিশ এদের গ্রেফতার করছেনা অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদাবাজরা বাংলাদেশ নদীবন্দর এসোসিয়েশন ঢাকা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইঞ্জিল বাল্কহেড বোট ওনার্স এসোসিয়েশন, সমাজ কল্যান সংস্থা ইসলামপুর ইউনিয়ন, মেসার্স বরকতিয়া ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন নামে বেনামে রশিদে খনিজ সম্পদ আমদানী রপ্তানী, চলতি নদীর ইঞ্জিন চালিত আহরিত নৌকা/বলগেট/জাহাজ হতে টোল আদায়ের ভূয়া অবৈধ রশিদ দিয়ে প্রতি নৌকা হতে প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা করে আদায় করে থাকে।
এ ব্যাপারে ছাতক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুমতি ছাড়া মিডিয়ায় বক্তব্য না দেওয়ার জন্য উর্দ্ধতম কতৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধ রয়েছে। আমাদের পুলিশের লোকজন টহলে রয়েছে। এরপরও আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd