জৈন্তাপুরে মটরশুঁটি মজুদের দায়ে লক্ষ টাকা জরিমানা, ধরাছোঁয়ার বাইরে লাইনম্যান চক্র

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২০

জৈন্তাপুরে মটরশুঁটি মজুদের দায়ে লক্ষ টাকা জরিমানা, ধরাছোঁয়ার বাইরে লাইনম্যান চক্র

Manual7 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের জৈন্তাপুরে মটরশুঁটি মজুদের কারণে উপজেলা প্রশাসন মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন পুলিশ-বিজিবির লাইনম্যান বেন্ডিস করিম, রুবেল ও জামাল।

Manual1 Ad Code

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা ও রাত ১২টায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার সারীঘাট ও চাঙ্গীল এলাকায় অবৈধ ভাবে মজুদের কারণে এ জরিমানা করা হয়। মোবাইলকোর্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন।

জানা যায়, মটরশুঁটি ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েক মাস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এনে জৈন্তাপুর এলাকায় মজুদ করছেন কিছু ব্যবসায়ী। যার কারণে দেশের অভ্যন্তরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দেয়। এ অপরাধের জন্য উপজেলা সদরে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ১৯ ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট অভিযান করে ২টি মামলার দায় পূর্বক ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা জুড়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

Manual3 Ad Code

দেশকে ভালো বেশে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা পারভীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সারীঘাট ও চাঙ্গীল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ ভাবে মজুদের কারণে বিপুল পরিমাণ মটরশুঁটি জব্দ করি। পরে ২টি মামলার দায় পূর্বক ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান উপজেলা জুড়ে অব্যাহত থাকবে।

Manual4 Ad Code

পুলিশ-বিজিবির লাইনম্যান বেন্ডিস করিম, রুবেল ও জামাল

পুলিশ-বিজিবির লাইনম্যান বেন্ডিস করিম, রুবেল ও জামাল

Manual8 Ad Code

প্রতিদিন রাতে পুলিশ-বিজিবির লাইনম্যান বেন্ডিস করিম, রুবেল ও জামালের নেতৃত্বে উপজেলার ঘিলাতৈল, কদম খালপানি ও রাংপানিসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে তাদের নেতৃত্বে পাচার করা হচ্ছে মটরশুটি। অন্যদিকে দেশে প্রবেশ করেছে হরিপুরের আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ, রফিক মিয়া, মনসুর মেম্বার ও ফারুক মিয়াসহ বিভিন্ন চোরাকারবারীদের কসমেটিকস-গরু। কিছুতেই হচ্ছে না জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাচালান। লাইনম্যান বেন্ডিস করিম, রুবেল ও জামাল স্থানীয় প্রশাসনের নামে প্রতিদিন চোরাকারবারীদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। লাইনম্যান জামাল প্রথমে পুলিশের নিকট থেকে তিনি করিম-রুবেলকে বাদ দিয়ে একাই দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে রুবেল পুলিশের সাথে আলাপ করে ফের দায়িত্ব পান এবং জামালকে সাথে নিয়ে কাজ করার কথা বলেন। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। মন্ত্রী নিদেশকে আমলে নিচ্ছে প্রশাসন। এ নিয়ে উপজেলার সর্বমহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..