সিলেটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যাচার-নাটক করছেন রুমি

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০

সিলেটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যাচার-নাটক করছেন রুমি

Manual7 Ad Code

সিলেট :: সম্প্রতি সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহী ঈদগাহ এলাকার মৃত ফিরোজ খানের পুত্রবধু জোহেলা বেগম রুমি মিথ্যা-বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নগরীর হাওয়াপাড়ার যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আশরাফ হোসেন সুমন।

সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে রুমি অভিযোগ করেছেন, সেটেলমেন্ট জরিপ অনুযায়ী শাহী ঈদগাহ এলাকার মোট ১৯টি দাগে তাদের ১ দশমিক ১৯ একরের বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এই জমি নিয়ে মামলা চলাকালীন শাহী ঈদগাহের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে সুয়েবুন নবী জাল দলিলের মাধ্যমে ঐ সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন। তার এই বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তিনি একজন মিথ্যাবাদী ও প্রতারক। প্রকৃত পক্ষে দাগগুলোর মধ্যে কেবল ১০১৬৭ নম্বর দাগের ২৫ শতক জমির খরিদা সূত্রের মালিক সুয়েবুন নবীর মা এশাবানু। ১৯৬১ সালে তিনি জমিটি ক্রয় করেন যার রাজস্বাক্ষি হিসাবে রুমির শশুড় ফিরোজ খান স্বাক্ষর করেছিলেন। পরে সুয়েবুন নবী হেবাসূত্রে মালিক হন। অন্য দাগগুলোতে তার কোন স্বত্ব নেই। রুমি জমি নিয়ে মামলার যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তাতেও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। ফিরোজ খান যে বাটোয়ারা মামলাদায়ের করেছিলেন (৭৬/২০০৪), তার আর্জিতে তিনি স্বীকার করেছেন ঐ ২৫ শতকের মালিক এশাবানু ও তার সন্তানরা। সুয়েবুন নবীর দখলে থাকার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। গত বছরের ২৯ মে তাদের বসতবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুরের অভিযোগটিও মিথ্যা। আমার মার্কেটের ভাড়া আদায় করতে গেলে ফিরোজ খানের জামাতা আরিফের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে দখলদারির উদ্দেশ্যে তারা সশস্ত্র মহড়া দিতে শুরু করলে শান্তি স্বার্থে আমি দোকানপাট বন্ধ রাখি। কিন্তু সামনেই ঈদুল ফিতর থাকায় দোকান মালিক ও শাহী ঈদগাহ ব্যবসায়ী সমিতির অনুরোধে দোকানগুলো খুলে দিই। ঈদের পরেই রুমি ও তার পরিবারের সসদস্যরা আমার জায়গা তাদের দাবি করে এলাকার সালিশ ব্যক্তিত্বদের কাছে বিচার দাবি করেন। কিন্তুত সালিশে বসে তারা তাদের পক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। সালিশ প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রায় ৭ মাস দোকানগুলোর চাবি সালিশানদের কাছেই ছিল এবং ভাড়াও তারাই তুলেছিলেন। কিন্তু রুমিদের অসহযোগিতার কারণে ৭ মাসেও কোন সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রুমি, তার ছেলে নাঈম, ফিরোজ খানের জামাতা রাজ্জাক ও আরিফের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মার্কেটের কয়েকজন দোকানদারের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। সন্ত্রাসীদের মহড়ায় দোকানদাররা আতংকিত হয়ে পড়লে আমরা কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করি। তিনি ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে ভূমিখেকো হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আসলে তিনি একজন সম্মানিত মানুষ। আমার কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করায় রুমির এই ক্ষোভ। ফিরোজ খানের ছোট ছেলে ও রুমির দেবর মোক্তাদির খানও আমার কাছ থেকে ঐ দাগের ৩ শতক ভূমি ক্রয় করেছেন। আমি মালিক না হলে তিনি আমার কাছ থেকে জমি ক্রয় করবেন কেন? রুমিদের পক্ষে সিসিক’র ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ফরমায়েশী রায় না দেয়ায় এখন তার তার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার শুরু করেছেন। প্রকৃত পক্ষে এই জমিতে আজাদ ক্রেতা বা অংশীদার নয়। তিনি সালিশানদের একজন।

Manual2 Ad Code

সুমন বলেন, আমি একজন প্রবাসী। আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। রুমি নিজে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন বলেই আমাকেও অপবাদ দিচ্ছেন।

Manual8 Ad Code

তিনি বলেন, এই জায়গা নিয়ে ৪টি মামলায় পরাজিত হয়ে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি তার জান-মালের নিরপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুয়েবুন নবী, জামায়েত চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ অপু ও সামাদ আহমদ।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..