ভারতীয় গরুর দখলে কানাইঘাটের সড়কের বাজার: অবৈধ গরুর হাট, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯

ভারতীয় গরুর দখলে কানাইঘাটের সড়কের বাজার: অবৈধ গরুর হাট, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব

Manual7 Ad Code

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজারটিতে চেরাইপথে নিয়ে আসা ভারতীয় গরুর দখলে। প্রতিদিন ভোর ৬টা হতে সকাল ১১টা পর্যন্ত বসে এই অবৈধ গরুর হাট। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভূমিকায় থাকায় চোরাকারবারি সিন্ডিকেট দখলে রেখে বাজারটি ও বাজারটির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক। যানঝট লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত। পাচার হচ্ছে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা।

সরেজমিনে কানাইঘাট উপজেলার সড়েকের বাজার ঘুরে দেখাযায়, প্রতিদিন ভোর হতে না হতে বাজারে প্রবেশ করতে থাকে ভারত হতে চেরাইপথে নিয়ে আসা কয়েক শহতাধিক গরু। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্র-ছায়ায় চেরাকারবারী দলের সদস্যরা নিরাপদে অবৈধ ভাবে বসানো বাজারে গরু উত্তোলন করছে। রাস্তার দুই পাশে ও বিভিন্ন বাড়ীর আঙ্গীনায় সেড তৈরী করে বসানো হয়েছে ভারতীয় গরুর হাট। কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে চেরাকাবারি সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা দেদারছে ভারত হতে গরু নিয়ে আসছে সড়কের বাজারে। সড়কের বাজার হতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ট্রাক যোগে প্রেরন করা হচ্ছে এসকল ভারতীয় গরু। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, কানাইঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব দিঘিরপার ইউনিয়নে অবস্থিত বাজারটিতে সরকারি ভাবে কোন গরু বাজার বসানোর অনুমতি নেই বা গরু বাজার হিসাবে ইজারা নেই। চলতি বৎসরের শুরু হতে কিছু সংখ্যাক প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বাজারটিতে ভারতীয় চোরাকারবারীরা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথ অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে ভারতীয় গরুর হাট গড়ে তুলে। সড়কের বাজারটি গরুরহাট হিসাবে উপজেলা প্রশাসনের কিংবা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে না থাকায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, এই সুযোগে সুবিধাভোগীরা অবৈধ বাজার বসিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হচ্ছে। সচেতন এলাকাবাসী আরও জানায় বাজারটি একটি অংশকে গরুর হাট হিসাবে চিহ্নিত করে ইজারার আওতায় নিলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হতনা। চেরাকারবারীরা সিন্ডিকেট ও প্রভাবশালী চক্র বাজারের বিভিন্ন অংশ সিলেট-জকিগঞ্জ রাস্তার ও বিভিন্ন বাড়ীর আঙ্গীনা দখল করে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করছে। দ্রæত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। অপরদিকে গরু আমদানীর নামে বাংলাদেশ হতে সীমান্ত পথে ভারতে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশী অর্থ (মুদ্রা)। অপরদিকে গরু নিতে বিভিন্ন জেলা আসা ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশে ট্রাক দাঁড় করে গরু বোঝাই করতে ভোগান্ততি পড়তে হচ্ছে সিলেট-জকিগঞ্জ রাস্তার যাত্রী সাধারণ।

Manual7 Ad Code

এবিষয়ে জানতে ৩নং পূর্ব দিঘিরপার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল প্রতিবেদককে জানান, সড়কের বাজারটি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদের অধিনে নয়। তবে বাজারটি বহু বৎসর হতে ওয়াকফ এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। ওয়াকফের মাধ্যমে অপেন টেন্ডারের নিলাম হয়। লিলামে প্রাপ্ত টাকা ওয়ার্কফ ফান্ডে যাচ্ছে। চলতি বৎসর বাজারটি ৬৬লক্ষ টাকায় নিলাম হয়েছে এর বাহিরে আমার জানা নেই। বাজারটি বৈধ্য না অবৈধ আপনারা খোঁজ নিন। সীমান্ত পার হয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ করছে কিভাবে সেটি সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভাল জানে।

Manual3 Ad Code

এবিষয়ে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আনোয়ার জাহিদ প্রতিবেদকে জানান, বাজারের বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবিষয়ে বলতে পারবেন। ভারতীয় গরু বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমান্তের দায়িত্ব আমাদের নয়, অনেক সময় কানাইঘাট থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান পরিচালনা করে। বর্তমানে আমার থানায় প্রায় ৩০টি ভারতীয় গরু আটক রয়েছে। পুলিশের জনবল সংকট সে ক্ষেত্রে গরু পাচাঁরে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী তাদের টহল জোরদার ভূমিকা রাখলে তাপ্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..