সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
সিলেটের এক কথিত নামধারী বাউল শিল্পী নাম তার উদাসী পিংকির বিয়ে নিয়ে চঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস। সে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার নয়াগ্রামের বাসিন্ধা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল মন্নানের স্ত্রী পিংকির বিয়ে নিয়ে কৃষ্ণ লীলা। কথিত এই বাউল শিল্পী পিংকির বিয়ে সিলেটের বাউল সমাজে চলছে তোলপাড়।
প্রায় তিন বছর আগে কোর্টের মাধ্যমে কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকার নয়াগ্রামের বাসিন্ধা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল মন্নানকে বিয়ে করেন ওই কথিত বাউল শিল্পী। বিয়ের কিছুদিন পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাজী অফিসে আপোসের মাধ্যমে মান্নান ও পিংকির বিয়ে বিচ্ছেদ করা হয়। এর এক মাস পর সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের কাজী অফিসে সুমন নামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সুমনের সাথে বিয়ের কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ফের কানাইঘাটের মন্নানকে বিয়ে করেন।
মান্নানের সংসারে থাকা অবস্তায় খোঁজতে শুরু করে নতুন বর। সঙ্গী হিসাবে বেছে নেন বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাটাখইন গ্রামের আমরুজ আলীর পূত্র তাজ উদ্দিনকে। পিংকির প্রেমে মঘœ হয়ে সোনা-গহনা,টাকা কড়ি সবকিছু খোয়ালেন। মনের মনি কোটা দিয়ে তাকে ভালবাসলেও সে ভালবাসা টিকেনি কিছুদিন। বহুগমী প্রেম ও বিয়ে ব্যবসায়ী পিংকি এবার খোঁজতে থাকে নতুন বর। এনিয়ে পাঁচ এর অধিক প্রেম ও বিয়ে বাণিজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে কথিত বাউল শিল্পী পিংকির। কিন্তু তাজ উদ্দিন কিছুতেই আগলে রাখতে পারেননি তার ভালবাসার সঙ্গী কথিত বাউল শিল্পীকে। তার ঘর ছেড়ে চলে যায় কানাইঘাটের মান্নানের ঘরে। পিংকির রয়েছে একটি শিশু সন্তান। এই সন্তানকে নিয়েও বাউল ভক্তদের মধ্যে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ বছর খানেক তাজ উদ্দিনের সংসারে থাকার পর সাত-আট মাসের একটি সন্তানের পিতা হিসাবে মান্নানকে পরিচয় দিচ্ছে পিংকি। পিংকির বিয়ে মানেনি কোন আইন ও ইসলামিক শরিয়ার বিধি বিধান। পারিবারিক আদালতের বিধান অনুসারে বিবাহবিচ্ছিন্ন পুনর্বিবাহের জন্য ন্যূনতম ৩০ দিন এবং হিন্দু বিবাহ আইন মোতাবেক ন্যূনতম ৯০ দিন পর আবেদন করতে হয়। আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বিবাহবিচ্ছিন্ন স্ত্রী ও পুরুষ পুনর্বিবাহ করতে পারেন। কিন্তু কথিত শিল্পী কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই একের পর এক বিয়ে করে নিত্য নতুন সংসার করছেন।
জানা যায়, তাজ উদ্দিন ওসমানীনগর ইসবপুর গ্রামে বিয়ে করেন বিয়ে পর তাদের সংসারে সন্তানাদি রয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের সংসার ভাল চলছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই কথিত বাউল শিল্পী পিংকি। তাজ উদ্দিন ছিলেন একজন নোহা চালক তিনি স্ত্রী-সন্তান,বাবা,মা ও ভাই-বোনকে নিয়ে ভাল ভাবে চলছিল। পিংকির প্রেমে পড়ে স্ত্রী তাকে ছেড়ে পিত্রালয়ে চলে যায় শুরু হয় তাজ উদ্দিনের জীবনের কষ্ট। কিছুদিন তাজ উদ্দিনের সাথে যেতে না যেতেই চলে যায় কানাইঘাটের মান্নানের ঘরে।
বাউল উদাসী পিংকি নামেই তার সর্বত্র পদচারনা। একাধিক ভয়েস স্টুডিওতে গিয়ে বাউল রেকর্ড করে থাকে সে। তার মা জুলেখা বেগম, শিল্পী দুঃখিনী জুলেখা নামে মায়ের পরিচিতি। শিল্পী নামের আড়ালে দেহবানিজ্য ও বিয়ে ব্যবসাই পিংকিদের মূল পেশা। একটু-আধটু গান রেকর্ড করিয়ে শিল্পী নাম লাগিয়ে যুবদের আকর্ষন সৃষ্টি অতঃপর বিয়ে। প্রতারনার মাধ্যমে মোহরানা ও সোনা গহনাসহ টাকা আত্মসাত।
পিংকি বাংলাভাষী যুবমহিলা হলেও তার বাড়িঘরের কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। একেক সময় একেক নামে নিজেকে কুমারী ও শিল্পী সাজিয়ে বিয়ে করে ধনাঢ্য পরিবারের যুবদের। পিংকী বর্তমানে বিশ্বনাথের তাজ উদ্দিনের হেফাজতে তার স্ত্রী পরিচয়ে দিনাতিপাত করছে। তবে এর আগে বিয়ের ফাদে ফেলে অসংখ্য ছেলেদের সর্বস্বান্ত করে ছেড়েছে সে। তার এ বিয়ে বানিজ্য ও প্রতারনার প্রধান সহযোগী তার খালা পরিচয়ের জনৈকা পিয়ারা বেগম। পিয়ারা বেগমই বিয়ে পাগল ছেলেদের ফাদে ফেলতে ভুমিকা রাখেন। গান ও দেহযৌলুস দেখিয়ে পিংকি এ পর্যন্ত কতবার বিয়ের পিড়িতে বসেছে তার কোন ইায়ত্তা নেই। এ পর্যন্ত কয়েকটি বিয়ে প্রতারনার খোঁজ মিলেছে তার।
সিলেটের কানাইঘাটের আব্দুল মান্নান নামের এক ছেলেকে ফাদে ফেলে বিয়ে করে পিংকি। কিছুদিন যেতে না যেতেই মোহনারা ও সোনা গহনাসহ মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করে তাকে ছুড়ে ফেলে চলে যায় গোলাপগঞ্জের সুমন আহমদের কোলে। সুমনের টাকাকড়ি ও অর্থসম্পদ নিয়ে আবার চম্পট দেয় পিংকি। বাগিয়ে নেয় জগন্নাথপুরের জুবায়েরকে। জুবায়েরকে খেয়ে কিছুদিন পর চলে যায় দক্ষিণ সুরমার মুরাদপুরের কবির আহমদের কোলে। কবিরকে খেয়ে জৈন্তাপুরের দেলোয়ারকে ফেলে বিয়ের ফাঁদে। দেলোয়ারকে ছুড়ে ফেলে বর্তমানে সে বিশ্বনাথের তাজ উদ্দিনের সাথে আছে।
যুবখেকো পিংকি প্রত্যেকবারাই নিজেকে কুমারী ও শিল্পী সাজিয়ে যুবদের প্রতারনার ফাদে ফেলে থাকে বলে অভিযোগে প্রকাশ। বহুরূপী প্রতারক ও যুবখেকো পিংকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ভোক্তভোগীরা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কজর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেচেন।
যার পেশা হচ্ছে বিয়ে আর তরুণদের সাথে প্রতারণা করা। সে কোন ভাল শিল্পি নয়। বরং নাম দিয়েছে বাউল শিল্পী উদাসী পিংকি। নাম যেমন চেহরাও তেমন। আর এই চেহরা দিয়েই যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে এই কথিত শিল্পী।
এই নারীর সুন্দরী চেরার আড়ালে কি না করছে তরুণী। যে ভাবে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, ঠিক তেমনি ধ্বংস হচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্য বাউল সমাজ। এই নামধারী কথিত বাউল শিল্পি উদাসী পিংকিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সিলেটের সকল বাউল সংঘঠনের প্রতি অনুরোধ করেছের সিলেটের বাউল ভক্তরা।
গত ১৪ সেপ্টম্বর তার নিজেস্ব ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে সিলেটের বাউল সমজকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলেন। বর্তমান একটি বাউল শিল্পীর দশটি স্বামী আছে বলে আছে। এমন মন্তব্য করেন এই কথিত শিল্পী। তার এমন মন্তব্যে বাউলদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে।
এই কথিত বাউল শিল্পীর পিংকির অশ্লীল মন্তব্য ও বিয়ে বাণিজ্যের বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় বাউল কল্যাণ সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন রাসেল বলে- ‘পিংকি লইভে এসে যে বললো আগের মত বাউল গান এখন সব লুচ্চামি। তাহলে লুচ্চামিতে কারা জড়িত তাদের তাদের নাম সে প্রকাশ করুক। না হয় বাউলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার পরিনাম ভালো হবে না’।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd