সিলেটে পুলিশ পরিদর্শক-ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯

সিলেটে পুলিশ পরিদর্শক-ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা

Manual4 Ad Code

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও অবৈধভাবে গবাদী পশুর হাট বসিয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক-ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে মামলা হয়েছে। মইনুল হক বুলবুল নামের এক আইনজীবীর দায়েকৃত এজাহার আমলে নিয়ে সোমবার দর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এরআগে গত ১০ অক্টোবর সিলেটের বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মঈনুল হক বুলবুল। ১০ ও ১৩ অক্টোবর অত্র মামলার দু’দফা শুনানী শেষে সোমবার সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান এ মামলা আমলে নিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন সিলেটের উপ-পরিচালককে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার দিঘিরপাড় পুর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের জুনাবআলী ওরফে জুনাইরর ছেলে তাজিম উদ্দিন, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম জহির, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের বটল হাজীর ছেলে মো, আবু রায়হান পভেল, মাছুগ্রাম গ্রামের উনু মিয়ার ছেলে এম মামুন উদ্দিন, দক্ষিন কুয়রেরমাটি গ্রামের মুতলিব শেখের ছেলে শাহাব উদ্দিন, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের মৃত ফরিদ আলীর ছেলে মুসলিম উদ্দিন এবং কানাইঘাট থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ ও গোয়াইনঘাট থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টার মো: আব্দুল আহাদ সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন।

Manual4 Ad Code

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার নামক স্থানে আব্দুল গফুর ওয়াকফ স্টেটের ভুমি ব্যবহার করে কানাইঘাট থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদের প্রত্যক্ষ মদদে আসামী ৩নং দিঘীরপাড় পুর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল ও সিলেট সকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এম মামুন উদ্দিনের তত্বাবধানে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো আবু রায়হান পাভেলকে বাজারের হাসিল আদায়কারী সাজিয়ে জহিরুল ইসলাম জহির, শাহাব উদ্দি ও মুসলিম উদ্দিন পুলিশ ও বিজিবির নামে ঘুষের টাকা আদায় করে সরকারী ঘোষিত গবাদী পশুর হাটের বাইরে বেআইনী হাট বসান। এ বাজারে ভারত থেকে গবাদী পশু চোরাচালান ও চোরাইভাবে অনতে বাংলাদেশী ৪শ ৫০ কোটি টাকা আলী হোসেন কাজল ও তাজিম উদ্দিন তাদের নিযুক্ত লোকজন দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেছেন। এ টাকা পাচার ও চোরাচালানের গবাদী পশুর হাট পরিচালনায় আইনশৃংখলা বাহিনীর নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা এ অবৈধ বাজার থেকে আদায় করা হয়েছে।

মামলার বাদী এম মঈনুল হক বুলবুল জানান, গত ১ আগস্ট এ বাজারে কুরবানী পশু কিনতে গেলে তার কাছেও আসামীরা পুলিশের লাইনের (ঘুষ) নামে ৮শ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে বিষটি মো. আব্দুল আহাদ অফিসার ইনচার্জ কানাইঘাট থানাকে জানালে তিনি এর কোন প্রতিকার না করে ম্যানেজ করে নেয়ার পরামর্শ দেন। এর পর এ ব্যাপারে তিনি ১৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেট অফিসের গেলে তারা বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

Manual6 Ad Code

বাদীর আইনজীবি এডভোকেট মো. মাহবুব হুসাইন জানান, এটা একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এ মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে বড় চোরাচালনের গরুর হাট এটি। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে এ বাজর থেকে সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাচালানের গরু প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সর্বরাহ করা হয়।

Manual1 Ad Code

এ ব্যাপারে রাস্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মো.জসিম উদ্দিন বলেন, মইনুল হক বুলবুল আদালতে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত কোনো নির্দেশন দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..