সংবাদ প্রকাশের পর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাকশন: স্টিকার ব্যবহারকারী ১৪ মোটরসাইকেল জব্দ

প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০১৯

সংবাদ প্রকাশের পর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাকশন: স্টিকার ব্যবহারকারী ১৪ মোটরসাইকেল জব্দ

Manual5 Ad Code

‘রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলে সাংবাদিক, পুলিশ, ডাক্তার লেখা স্টিকার’ সংবাদ বুধবার (০২ অক্টোবর) প্রকাশের পর সিলেটে স্টিকার ব্যবহারকারী ১৪ মোটরসাইকেল জব্দ করেছে মহানগর ট্রাফিকপুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সিলেট নগরীর বিভিন পয়েন্টে দিনভর অভিযান পরিচালনা করে ১৬টি যানবাহন আটক ও ৫৪টি মামলা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার কালেক্টর মসজিদের সামন থেকে দুটিসহ পুলিশ স্টিকার সম্বলিত ৮টা মোটরসাইকেল আটক করা হয়। কাগজপত্রবিহীন ও কাগজে ত্রুটি থাকায় একদিনে ৫৪টি যানবাহনে মামলা দেয়া হয়। তারমধ্যে মোটরসাইকেল ছিলো ৫২টি। আর রেকার করা হয় ১৬টি যানবাহন। সেখানে শুধু মোটরসাইকেল ছিলো ১৪টি।

ট্রাফিক সপ্তাহ, বিশেষ অভিযানে ধরপাকড় করার পরও ট্রাফিক আইন না মানায় ট্রাফিকপুলিশ হার্ডলাইনে হাঁটছে। যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিং করার দায়ে মামলা দেয়া, মালিক না পেলে গাড়ি থেকে প্লাগক্যাপ খোলে নেয়া পর আশানুরূপ ফল না হওয়ায় এবার ‘হেলমেট আছে পেট্রোল আছে’ এ স্লোগানে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ট্রাফিকপুলিশ। এ কর্মসূচির আওতায় হেলমেটবিহীন চালকরা পেট্রোল পাম্প থেকে তেল কিনতে পারবেন না। অক্টোবরের প্রথমদিক থেকে চালু হয় এ কর্মসূচি। সিলেট নগরের এক পয়েন্টে কয়েকদিন আগে রেজিস্ট্রেশনবিহীন এক মোটরসাইকেল আটক করে ট্রাফিকপুলিশকে পড়তে হয় মহা বিপদে। মোটরসাইকেলের চালক কোনো এক পত্রিকার সাংবাদিক। নাম্বার প্লেটে লাগানো সাংবাদিক লেখা স্টিকার। দায়িত্বরত পুলিশ মামলা দিতে প্রস্তুত হলে তিনি পুলিশকে হাইকোর্ট দেখান। এমনকি এক সময় তার হয়ে কথিত সাংবাদিক নেতা ফোন করেন ওই পুলিশ অফিসারের কাছে। এমন ঘটনা নিত্যদিনের। তবে শহরের বাহিরে অসংখ্য কাগজপত্রবিহীন যান অবাধে চলাচল করছে। বিভিন সংস্থার সাইবোর্ডধারী যানবাহন চোরাচালান, ছিনতাই, অপহরণ, মাদক পরিবহণসহ নানা অপরাধজনিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নজরধারী থাকায় প্রায়ই মাদক পাচারে জড়িত থাকা গাড়িসহ অপরাধীদের আটকের খবর পত্রিকায় ছাপা হয়।

Manual2 Ad Code

প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে যানবাহনে বিভিন্ন সংস্থার নাম ব্যবহার করায় যেমনি দুর্নাম হচ্ছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের তেমনি অপরাধী শনাক্তে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার। অপরাধীরা অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার পর পার পেতে ব্যবহার করছে বর্ডার কর্স ও চোরাই গাড়ি। মাঝেমধ্যে এ সব অবৈধ যানবাহন আটক করা হলেও গাড়ি ব্যবহারকারী বা তার মালিকের সন্ধান না মিলায় শনাক্ত হচ্ছে না রাগববোয়ালরা। গতকাল ট্রাফিকপুলিশের অভিযানে নেতৃত্বদেন উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিকুলিন চাকমা, টিআই মো: বদিউল আমীন চৌধুরী, হাবিব, টিএসআই ওহেদুর রহমান, ফারুক মিলনসহ অন্যান্যরা। সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম ট্রহল পুলিশ পরিদর্শক টিআই মো: বদিউল আমীন চৌধুরী বলেন, জনসাধারণকে মাঝে জনসচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিকপুলিশ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রতি সোমবার চৌহাট্রায় মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সহায়তা প্রদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নগরীতে নিয়মিত অভিযানে ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট বিহীন ও গাড়ির কাগজে সমস্যা থাকলে ট্রাফিক আইনে দেয়া হচ্ছে মামলা।

Manual2 Ad Code

বৃহস্পতিবার বিকেলে কালেক্টর মসজিদের সামনে ট্রাফিকপুলিশের অভিযান চলাকালে কথা হয় উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ এর সাথে। এধরনের সংবাদ প্রকাশ করায় এ প্রতিবেদক কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহনে স্টিকার সাঁটানো দেখা মাত্র আমরা রেকার করছি। কোনো অবস্থাতে ছাঁড় পাওয়ার সুযোগ নেই। ট্রাফিক আইনে জনসচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিকপুলিশ আরো কঠোর অবস্থানে থাকবে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..