সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯
সিলেট শহরতলীর কাকুরয়ারপাড় গ্রামে যুক্তরাজ্যে থাকা ভাইয়ের সম্পত্তি দখল করতে বাসায় ভাংচুর, লুটপাট ও কেয়ারটেকারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কাকুয়ারপাড় গ্রামের প্রবাসী আব্দুল গণি আলী গণির বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী প্রবাসীর আপন ছোটভাই সাজন আহমদ সুবিদবাজার এলাকার লন্ডনী রোড ছয়েফ খান রোড অগ্রণী-৮৯এর আহমদ ভিলার বাসিন্দা মৃত হাজী আহমদ আলীর পুত্র। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন কেয়ারটেকার সারিয়া বেগম, তার পুত্র রাসেল আহমদ ও ইউসুফ আহমদ।
এ ঘটনায় সারিয়া বেগম বাদী হয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা আসামীরা হলেন- সাজন আহমদ, অনিক আহমদ, আল-আমিন, মনাই, শাহজাহান, ইউসুফ মিয়া, আব্দুর রহমান সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন।
জানা যায়- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হায়দরপুর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র আব্দুল গণি আলী গনি দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সেখানে থেকে তিনি সুবিদবাজারে লন্ডনী রোড ছয়েফ খান রোড অগ্রণী-৮৯এর আহমদ ভিলা ও এয়ারপোর্ট থানার কাকুয়ারপাড় গ্রামের বাসা নির্মাণ করেন। এরপর থেকেই আব্দুল গণি আলী গনির আপন ছোট ভাই সাজন আহমদ বাসা দখলের পায়তারা শুরু করে। আব্দুল গণি আলী গণি প্রবাসে থাকার সুবিধার্থে সুবিদবাজারের অগ্রণী-৮৯ এর আহমদ ভিলা বাসা দখল করে নেয় সাজন আহমদ। এরপর কাকুয়ারপাড় গ্রামের বাসার দিকে কুনজর দেন, দখলের চেষ্টা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই বাসায় কেয়ারটেকার সারিয়া বেগমকে বাসা ছাড়ার হুমকি দেয়। নতুবা তাদেরকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি-দমকিও দেন সাজন আহমদ।
এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন সারিয়া বেগম। যার নং- ৭০৭ (২৮.০৭.২০১৯ইং)।
থানার জিডি করার পরে সাজন আহমদ ভাইয়ের বাসা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরপর মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় সাজন আহমদ তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে বাসায় হামলা করে। বাসার কেয়ারটেকার সারিয়া বেগম, তার ছেলে রাসেল আহমদ ও ইউসুফ আহমদকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীরা বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর, নগদ ৯০ হাজার ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হামলার পর আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত সারিয়া বেগম, তার পুত্র রাসেল আহমদ ও ইউসুফ আহমদকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা হাসপাতালের ৪তলা ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, হামলার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd