সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে গত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন বলে দাবি করেছেন সাইফ আমিন নামে একজন পু’লিশ পরিদর্শক।
গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়ালে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পু’লিশের ওই কর্মক’র্তা একসময় হালিশহর থা*না, চট্টগ্রাম মহানগর আ’দালতের হাজতখানাসহ বিভিন্ন থা*নায় কর্ম’রত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্ম’রত।
ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধ’রা হলো- ক্লাব-জুয়া-সাংসদ এবং ওসি ক্যাসিনো, ফ্লা’শ, হাউজি, হাজারি, কাইট, পয়শা (চাঁন তারা) এগুলো আবহমান কাল থেকেই মহানগর ও জে’লা সদরের ওসিদের বিনা ঝামেলায় মোটা টাকা পাওয়ার পথ।
মহানগরের ফ্ল্যাট’কেন্দ্রিক দেহ ব্যবসা, ম্যাসেজ পারলারগুলো ওসি সাহেবদের ২য় ইনকাম জেনারেটিং এসিসট্যান্স করে, থা*নার ক্যাশিয়ার কালেকশন করে ওসির প্রতিনিধি হিসেবে।
ক্লাবপাড়ার ওসিরা এই দুই খাত থেকেই দৈনিক ৫ লাখ করে নিলেও মাসে তা দেড় কোটিতে পৌঁছায়। এবার আছে থা*নার সিভিল টিম, সিয়েরা ডে/নাইট, লিমা ডে/ নাইট/ গলফ ডে নাইট। এরপর ডিবি।
ডিবি একসঙ্গে নেয় না, তালিকা অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করা হয়। প্রতি মাসেই স্ব স্ব ইউনিট থেকে কর্ম’রত অফিসারদের তালিকা আপডেট করে হাউসগুলোতে পাঠানো হয়। বাকি থাকে মা’দক, ওসিরা এখন মা’দকের টাকা নেয় না।
মফস্বলের ওসিরা চায় সারা বছর মেলা। মেলা মানে ধামাকা ধামাকা নৃত্য, জুয়া, হাউজি, ওয়ান/টেন আর ডাব্বা খেলা। দৈনিক ওসির ৫০ হাজার, মাসান্তে ১৫ লাখ, তিন মাস চললে ৪৫। ব্যস! আগের পোস্টিং ফ্রি, আর পরেরটা মজুদ। বাকি দিনে যা পান সব বোনাস।
ঢাকায় মেনন সাহেব একটির চেয়ার অলঙ্কৃত করেছেন। দোষের কিছু নাই। রাজনীতি বলে নকশালীরা টাঁকশালী। অর্থাৎ টাঁকশালের মালিক তারা হন। চট্টগ্রামে শামসুল হক মাস্টার (!)। ছিঃ ধিক্কার জানাই।
আমা’র নিজের হিসাবে তিনি আজ ৫ বছর চট্টগ্রাম আবাহনীর জুয়ার বোর্ডের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক এবং গডফাদার। দৈনিক সর্বনিম্ন ১০ লাখ করে নিলেও আজ ৫ বছরে শুধু জুয়া থেকে নিয়েছেন প্রায় ১৮০ কোটি টাকা।
ক্লাবটি হালিশহর থা*নায়, এমপি সাহেব ওসির জন্য মাসে হাজার দশেক টাকা পাঠান ছিঁচকে ছি’নতাইকারী ও মা’দকসেবী দীঘলের মা’রফত (তথাকথিত যুবলীগ নেতা)। টাকার এত অবনয়নে হালিশহরের ওসিরা সেই টাকা নেন না।
যদিও ওই থা*নায় ১৩০০টি দেহ ব্যবসার আলয় আছে। ওসি দৈনিক বাসা প্রতি ৫০০ টাকা করে ৬০ হাজার পান। মাসে এখানে ১৮ লাখ পান, তাই মাস্টারের জুয়ার আখড়া মুফতে চললেও রা করেন না।
এই হক মাস্টারের অর্থশালী হয়ে ধ’রা কে সরা জ্ঞান করার অন্য কারবার হলো ইয়াবা ট্রানজিট। সরকারের কড়াকড়ি আরোপের আগ পর্যন্ত টেকনাফ থেকে আসা ই’য়াবার ৮০ ভাগ তার পটিয়ায় ট্রানজিট নিত।
এবং র্যা’ব এর এনকাউন্টারে মাস্টার সাবের ইয়াবা উইং কমান্ডার নি’হত হলে দীর্ঘ এক যুগ পর চট্টগ্রামের স্টেশন কলোনি ই’য়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। শত অ’ভিযান আর আন্তরিকতা সত্ত্বেও যা বন্ধ করতে পারেননি সিএমপির সাবেক কমিশনার জনাব মোহা. সফিকুল ইস’লাম, জনাব জলিল, জনাব ইকবাল বাহার চৌ.।
অথচ হক মাস্টার ধোয়া তুলসী রয়ে গেলেন। জুয়া দিয়ে এবং নিয়ে দেশময় প্রায় একই অবস্থা। আগের সরকারে করেছেন খোকা, আব্বাস, ফালু, এখন করছেন মেনন, শামসু মাস্টার, খালিদ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd